Primary Teacher Recruitment

ঝুলে রইল ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের মামলা, শুক্রবার শুনানি হচ্ছে না সুপ্রিম কোর্টে

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই মামলার শুনানিই পিছিয়ে গেল। সে কারণে ১২ হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ বিপাকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:৫০
Share:

সুপ্রিম কোর্ট। — ফাইল চিত্র।

ঝুলেই রইল ১২ হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ। প্রাথমিকের চলতি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি ছিল শীর্ষ আদালতে। সেই শুনানিই পিছিয়ে গেল। ফলে বিপাকে চাকরিপ্রার্থীরা।

Advertisement

চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ১২ হাজার চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চ প্রাথমিকের সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দেয়। জানায়, নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ করতে পারবে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই মামলার পরবর্তী শুনানিই পিছিয়ে গেল।

গত বছর ২৯ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একটি নির্দেশে জানিয়েছিলেন, যে সব চাকরিপ্রার্থী ডিএলএড-এর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, তাঁদেরও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শামিল করতে হবে। চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে জানিয়েছিলেন, ডিএলএড পরীক্ষায় বিলম্ব হওয়ার কারণেই তাঁরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি। ফলে তাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারছেন না। ওই চাকরিপ্রার্থীরা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়ার জন্য আর্জি জানান। তাঁদের বক্তব্য শুনে ডিএলএড পরীক্ষার অন্তিম বর্ষের পড়ুয়াদেরও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

Advertisement

কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ করে দেয়। ডিভিশন বেঞ্চের যুক্তি ছিল নিয়োগের দিনক্ষণ ঘোষণার দিন পর্যন্ত ওই চাকরিপ্রার্থীরা প্রশিক্ষণহীন, তাই তাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে না। প্রশিক্ষণহীন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায়। সেই মামলার শুনানিতেই জুলাই মাসের শেষে চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই মামলার শুনানি এ বার আরও পিছিয়ে গেল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement