যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাগিং-বিরোধী কমিটি পুনর্গঠন করা হল। ৩৩ জন সদস্যকে নিয়ে এই কমিটি গঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, অধ্যাপক ছাড়াও এই কমিটিতে রয়েছেন পুলিশ আধিকারিক, ছাত্র সংগঠনের সদস্যেরা।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে নতুন কমিটির কথা জানানো হয়েছে। এই কমিটির ৩৩ জন সদস্যের নাম এবং তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের ঠিকানাও প্রকাশ করেছেন কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাসে বা হস্টেলে কোথাও কেউ র্যাগিংয়ের শিকার হলে বা র্যাগিং হতে দেখলে এই কমিটির যে কোনও সদস্যকে তা জানাতে বলা হয়েছে।
কমিটিতে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, বিজ্ঞান, কলা, ইঞ্জিনিয়ারিং-সহ মোট চারটি বিভাগের ডিন। এ ছাড়া, যাদবপুর থানা এবং দক্ষিণ বিধাননগর থানার ইনস্পেক্টর ইন-চার্জকে র্যাগিং-বিরোধী কমিটিতে রাখা হয়েছে।
র্যাগিং-বিরোধী কমিটির বিজ্ঞপ্তি।
কমিটিতে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনগুলির এক জন করে প্রতিনিধি, অভিভাবকদের প্রতিনিধি, সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি এবং অসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি। বিভিন্ন বিভাগের তরফেও প্রতিনিধিরা র্যাগিং-বিরোধী কমিটিতে রয়েছেন। তাঁদের নামের সঙ্গে ফোন নম্বর এবং ই-মেল আইডি প্রকাশ করা হয়েছে।
গত ৯ অগস্ট যাদবপুরের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের (স্নাতক) ছাত্র হস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে যান। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। ওই ছাত্র র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তোলপাড় শুরু হয়েছে। বার বার কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জবাব তলব করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এবং বর্তমান ছাত্র মিলিয়ে মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক ছাত্রের বিরুদ্ধে কেবল পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ছিল। তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। বাকিরা এখনও জেলে।