মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নরেন্দ্র মোদী।
আগামী শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল দিল্লি যেতে পারেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে খবর, দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখামুখিও হতে পারেন মমতা।
আগামী সপ্তাহের শনিবার, ৩০ এপ্রিল রাজধানীতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এবং বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্টের বিচারপতিদের একটি আলোচনাসভা আয়োজিত হতে চলেছে। যার নাম, ‘চিফ মিনিস্টার্স-চিফ জাস্টিসেস কনফারেন্স অন জুডিশিয়ারি’। নবান্ন জানিয়েছে, ওই আলোচনাচক্রে যোগ দিতে যেতে পারেন মমতা। তবে তার পাশাপাশি দিল্লিতে তাঁর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে। কারণ বিচারপতিদের ওই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকও করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে।
বিচারপতিদের সম্মেলনে থাকবেন দেশের প্রধান বিচারপতি এবং অন্য রাজ্যের হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতিরাও। ওই সম্মেলনে মমতার উপস্থিতিও বেশ ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ হতে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের বিচারবিভাগের সঙ্গে সম্প্রতি রাজ্যের শাসকদলের একটি ‘পরোক্ষ বিবাদ’ প্রকাশ্যে এসেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। সম্প্রতি একের পর অপরাধের ঘটনার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিচারবিভাগ রাজ্য পুলিশ বা তদন্তকারী সংস্থার উপর ভরসা না রেখে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তদন্তভার দিয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে সেই নির্দেশের উপর চেপেছে পাল্টা স্থগিতাদেশ। বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির এনভি রমাণার কাছে অভিযোগও জানান। স্থগিতাদেশের বিষয়টি বিশেষ করে উত্থাপন করেন। এই পরিস্থিতিতে দিল্লিতে বিচারপতিদের সম্মেলনে মমতার উপস্থিতির দিকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের নজর থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
একই সঙ্গে রাজ্যে দুই উপনির্বাচনে সাম্প্রতিক জয়লাভের পর এই প্রথম মুখোমুখি হতে পারেন মমতা এবং মোদী। উপনির্বাচনে বিজেপির একটি লোকসভা আসন জিতে নিয়েছে তৃণমূল। বিধানসভার উপনির্বাচনেও পরাজিত করেছে বিজেপিকে। যার পরবর্তী সময়ে রাজ্য বিজেপিতে অন্তর্দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ। আবার রাজ্য আয়োজিত বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আমন্ত্রিত হলেও হাজির ছিলেন না মোদী। ফলে দিল্লিতে মোদীর মুখোমুখি হয়ে মমতা কী বলেন, সে দিকে নজর থাকবে।