নিজের ইচ্ছা মতো স্বাস্থ্য ভবনে যাওয়া যাবে না বার্তা কার্যনির্বাহী স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কাজের সময়ে হাসপাতাল ছেড়ে নিজের ইচ্ছা মতো স্বাস্থ্য ভবনে যাওয়া যাবে না। যেতে হলে অধ্যক্ষ, সুপার কিংবা বিভাগীয় প্রধানের থেকে লিখিত অনুমতি (চিরকুট) নিয়ে
যেতে হবে।
রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, সুপার ও বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে তৈরি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে কার্যনির্বাহী স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা এমনই বার্তা দিয়েছেন বলে খবর। সেখানে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্য ভবন কোনও দর্শনীয় স্থান বা বেড়ানোর জায়গা নয়। তাই, ইচ্ছে হল আর চলে এলাম তেমনটা চলবে না।
যদিও স্বাস্থ্য কর্তার এ হেন নির্দেশের বিরোধিতা করেছেন জুনিয়র ও সিনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠনও। তাদের দাবি, সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে কোনও বিষয়ে জানিয়ে প্রত্যাশিত ফল না পেয়ে, অনেক সময়েই বাধ্য হয়ে চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য ভবনে যেতে হয়। নিজের দরকারের বা বাইরে রোগী স্বার্থেও প্রায়ই চিকিৎসকেরা স্বাস্থ্য ভবনে যান। সেই জায়গাটি কেন বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে চিকিৎসক মহলে প্রশ্ন উঠেছে।
বিষয়টি চিকিৎসকদের অধিকার কেড়ে নেওয়া বা তাঁদের উপরে জবরদস্তি নির্দেশ চাপানো বলে অবশ্য মানতে নারাজ স্বাস্থ্য কর্তারা। তাঁদের তরফে ব্যাখ্যা, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা অনিরুদ্ধ নিয়োগী হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে একটি বার্তা দিয়েছেন। যাতে জুনিয়র থেকে সহকারী চিকিৎসকেরা স্বাস্থ্য ভবনে আসার আগে সেটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে তার পরে আসেন। আর বিষয়টি একটি চিরকুটে অনুমতি প্রদান হিসেবে লিখে দিতে বলা হয়েছে।
ওই কর্তাদের পর্যবেক্ষণ, জেলার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের অনেক চিকিৎসক প্রায়শই স্বাস্থ্য ভবনে আসেন। সেই সময়ে জরুরি দরকার পড়লেও ওই ডাক্তারকে হাসপাতালে পাওয়া যায় না। কে কখন স্বাস্থ্য ভবনে যাচ্ছেন সেটা কর্তৃপক্ষের জানা থাকলে রোগী পরিষেবার সুবিধা হবে বলেই স্বাস্থ্য কর্তাদের অভিমত।