অরুণাচল দত্তচৌধুরী
অবসর নিতে বাকি আছে মাত্র চার মাস। এই অবস্থায় চিকিৎসক অরুণাচল দত্তচৌধুরীর উপর থেকে সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নিল স্বাস্থ্য ভবন। ২০১৭ সালের অক্টোবরে ডেঙ্গিতে মৃত ব্যক্তির শংসাপত্রে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ লিখতে না-পেরে ফেসবুকে নিজের অসহায়তা প্রকাশ করেছিলেন অরুণাচল। তার পরেই বারাসত জেলা হাসপাতালে কর্মরত থাকাকালীন ওই চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়।
স্বাস্থ্য দফতরের সিদ্ধান্তের সেই বিরোধিতা করে পথে নামে চিকিৎসক সমাজ। ২০১৮ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি অরুণাচলবাবুকে জানানো হয়েছিল, বিভাগীয় তদন্তের রিপোর্ট তাঁর বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। শুক্রবার অ্যাসোসিয়েশন অব হেল্থ সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মানস গুমটা বলেন, “স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের যে-কোনও অব্যবস্থার দায় চিকিৎসকদের ঘাড়ে চাপানোর প্রশ্নে এই সরকার নজির তৈরি করেছে। প্রখ্যাত নিউরোসার্জন শ্যামাপ্রসাদ গড়াই তো সাসপেন্ড থাকা অবস্থাতেই অবসর নিয়েছেন! আশা করি, দ্রুত অরুণাচলবাবুর বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হবে। নইলে আবার পথে নামতে বাধ্য হবে চিকিৎসক সমাজ।” ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের সভাপতি অর্জুন দাশগুপ্তের দাবি, সাসপেনশন তুললেও প্রবীণ চিকিৎসক কোথায় ও কবে কাজে যোগ দেবেন, তা জানানো হয়নি। স্বাস্থ্য ভবনকে দ্রুত এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
অরুণাচলবাবু বলেন, “সকলে যে-ভাবে আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন, তার জন্য কৃতজ্ঞ। আমি দ্রুত কাজে যোগ দিতে উদ্গ্রীব, এটুকুই বলব।”