সোমবার স্বাস্থ্য ভবনে শিশু বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বৈঠক করেন স্বাস্থ্যকর্তারা। —ফাইল চিত্র।
অ্যাডিনোভাইরাস রোগীদের পরিষেবার ক্ষেত্রে পরিস্থিতি বুঝে পদক্ষেপ করার জন্য জেলাগুলিকে পরামর্শ দিল স্বাস্থ্য ভবন। সোমবার একটি বৈঠকে স্বাস্থ্য ভবন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জেলা থেকে কলকাতার হাসপাতালগুলিতে ইচ্ছামতো কোনও রোগীকে রেফার করা যাবে না। বরং পরিস্থিতি অনুযায়ী ওই রোগীদের রেফার করতে হবে।
সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য ভবনে শিশু বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বৈঠক করেন স্বাস্থ্যকর্তারা। মূলত অ্যাডিনোভাইরাস মোকাবিলায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়ন এবং পরিকল্পনা করাই ছিল বৈঠকের উদ্দেশ্য। বৈঠকে স্বাস্থ্য ভবনের দাবি, কলকাতার তুলনায় এই মুহূর্তে জেলাগুলিতে অ্যাডিনোভাইরাসের দাপট অনেকাংশেই কম। স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগীর মতে, ‘‘জেলাগুলিতে অ্যাডিনোভাইরাসের দাপট ছিল। তবে সেই পরিস্থিতি পার হয়ে গিয়েছে। তবু যাতে জেলা থেকে ইচ্ছামতো রোগীকে কলকাতায় রেফার করা না হয়, তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ যদিও কলকাতার হাসপাতালগুলিতে এখনও কম-বেশি এমন শিশুদের ভর্তি করানো চলছে, যাদের মধ্যে জ্বর, সর্দি-কাশি বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্তও রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিকর্তার পরামর্শ, জেলা থেকে রোগীদের নমুনা পরীক্ষার জন্য কলকাতায় অথবা যেখানে তার বন্দোবস্ত রয়েছে, সেখানে পাঠাতে হবে। এ ছাড়া, জ্বর বা সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত শিশুদের মৃত্যু হলে তার কারণ বিশ্লেষণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলেন, ‘‘আমাদের মূল লক্ষ্য হল রোগীদের পরিষেবা দেওয়া। তবে শিশুমৃত্যুর কারণ বিশ্লেষণ করা হবে।’’
রাজ্যে সপ্তাহখানেকের মধ্যেই অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে। কোভিডের পর যাতে এই ভাইরাসের মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকা যায়, সে জন্য শহরের বিসি রায় হাসপাতালের পরিকাঠামো পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য। সে সময়ই তিনি জানিয়েছিলেন, চিকিৎসা পরিকাঠামো এবং উন্নয়ন খতিয়ে দেখতে একটি বৈঠক হবে স্বাস্থ্য ভবনে।