BJP at Marishda

মারিশদা গ্রামের মাটিতে বসেই ‘উঠোন বৈঠক’ সুকান্তের, শুরু হল পদ্মের গ্রাম সম্পর্ক অভিযান

পঞ্চায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখে বিজেপির গ্রাম অভিযান শুরু হল পূর্ব মেদিনীপুর থেকে। সোমবার সেখানকার মারিশদা গ্রামে যান সুকান্ত মজুমদার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২০:৪৭
Share:

মারিশদা গ্রামে সুকান্ত মজুমদার। নিজস্ব চিত্র।

রাজ্য জুড়ে ‘দিদির দূত’ কর্মসূচি পালন করছে তৃণমূল। এর মধ্যেই বিজেপি শুরু করল ‘গ্রাম সম্পর্ক অভিযান’ নামের কর্মসূচি। তবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের যুব মোর্চাকে। সোমবার অভিযানের সূচনা হল পূর্ব মেদিনীপুরে উত্তর কাঁথি বিধানসভার মারিশদা গ্রাম থেকে। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ।

Advertisement

এপ্রিল মাসের শেষে রাজ্যে হতে পারে পঞ্চায়েত ভোট। গ্রামের নির্বাচন এসে যাওয়াতেই গেরুয়া শিবিরের এই কর্মসূচি। বাছা হয়েছে রাজ্যের গ্রামপ্রধান বিধানসভা এলাকাগুলিকে। সোমবার শুরু হওয়া প্রথম দফার অভিযান শেষ হবে আগামী ৬ মার্চ উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। সে দিন সেখানে উপস্থিত থাকার কথা যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্যের। ৮ দিনের কর্মসূচিতে ৫০০ গ্রামে এই অভিযান চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে যুব মোর্চা। এর পরে আরও দুই দফায় মোট দু’হাজার গ্রামে যাওয়াই লক্ষ্য মোর্চার।

সোমবার মারিশদায় রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে পুজো দিয়ে কর্মসূচি শুরু করেন সুকান্ত, ইন্দ্রনীল। এর পরে তিনটি বুথ এলাকা ঘুরে দেখেন। প্রচার শেষে স্থানীয় মহাদেব মন্দির দর্শন ও সেখানে অন্নভোগ খান বিজেপি নেতারা। মাঝে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলতে মাটিতে বসে ‘উঠোন বৈঠক’ও করেন সুকান্তেরা।

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে কাঁথির সভায় যাওয়ার আগেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েছিলেন এই মারিশদায়। অনেকেই তাঁকে নিজেদের অভাব-অভিযোগের কথা বলেন। অভিষেক প্রশ্ন করেন, ‘‘রেশন পান?’’ সমস্বরে তার জবাব আসে, ‘‘রেশন পাই। কিন্তু অনেক সরকারি ভাতাই পাই না।’’ জলনিকাশির খারাপ অবস্থার কথাও বলেন এক মহিলা। অভিষেক তাঁকে বলেন, ‘‘চলুন, দেখে আসি।’’ তার পরই ওই মহিলার সঙ্গে হাঁটা দেন গ্রামের ভিতরে। পিছনে অন্য মহিলারাও। যোগাযোগের জন্য চেয়ে নেন ফোন নম্বর। পাশাপাশি, তাঁদের সকলকে সাহায্যের আশ্বাস দেন তিনি। বলেন, ‘‘আমি দেখে গেলাম। যা করার করব। আমি যখন তখন চলে আসব। এক কাপ চা খেয়ে যাব।’’ এর পরে কাঁথির সভা থেকে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান এবং অঞ্চল সভাপতিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেন অভিষেক। সেই নির্দেশের পরে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাঁথি-৩ ব্লকের মারিশদা-৫ পঞ্চায়েতের প্রধান ঝুনুরানি মণ্ডল, উপপ্রধান রমাকৃষ্ণ মণ্ডল এবং অঞ্চল সভাপতি গৌতম মিশ্র ইস্তফা দেন।

সেই গ্রাম থেকেই অভিযান শুরু করল বিজেপি। সুকান্ত বলেন, ‘‘দেখে গেলাম কী ভাবে সাধারণ মানুষকে প্রাপ্য সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এ নিয়ে আমরা রিপোর্ট তৈরি করব এবং কেন্দ্রের কাছে পাঠাব।’’

যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আজ তৃণমূলের দুর্নীতি এবং বঞ্চনার শিকার। সেই বঞ্চনার অবসান ঘটানোর অঙ্গীকার নিয়েই ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার এই গ্রাম সম্পর্ক অভিযান। কোথাও দেখলাম চিকিৎসার অভাবে কেউ ভুগছেন, আবার কোথাও দেখলাম শিক্ষিত বেকারের বৃদ্ধা মায়ের আর্তনাদ। গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষের উন্নয়ন হলে তবেই আমরা প্রকৃত সোনার বাংলা গড়তে পারব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement