শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকায় বিপাকে প্রধান শিক্ষকরা। নিজস্ব চিত্র।
বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত নতুন সরকারি বিজ্ঞপ্তি ঘিরে সরকারি ও সরকারি অনুদান প্রাপ্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কারণ সহকারি শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক হওয়ার সময় যে বেতন বৃদ্ধির কথা ছিল, নতুন বিজ্ঞপ্তিতে তা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা। সাধারণত, প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ বছর অন্তর বাড়ে। রোপা-২০১৯ প্রকাশের পরে প্রধান শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত বেতন পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি শর্ত আরোপ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছিল, প্রধান শিক্ষকরা এই বর্ধিত বেতন পাওয়ার যোগ্য হবেন সেই পদে চাকরির মেয়াদ ১০ বছর পূর্ণ হওয়ার পর। সহকারী শিক্ষক পদে তাঁরা কত দিন চাকরি করেছেন, তা বেতন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ধরা হবে না। আগের নিয়ম অনুযায়ী এই বর্ধিত বেতন পাওয়ার জন্য সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরির মেয়াদও বিবেচিত হত। কিন্তু নতুন নিয়মে আর সহকারী শিক্ষক হিসেবে তাঁদের কার্যকালকে বর্ধিত বেতনের আওতায় আনা হবে না।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির তরফে স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘বর্তমানে প্রধান শিক্ষকদের যা কাজের চাপ, তাতে তাঁদের আর্থিক সুবিধা না দিলে আগামী দিনে বহু যোগ্য সহকারী শিক্ষক প্রধান শিক্ষক হতে চাইবেন না। উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের ও আলাদা অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট দেওয়ার প্রয়োজন আছে। সরকার এই বিষয়টি মানবিক দৃষ্টি দিয়ে দেখুন।’’