—প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের নতুন শিক্ষানীতিতে স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানে প্রধান শিক্ষকদের পদোন্নতি নিয়ে কোনও উল্লেখ নেই।
এমনই অভিযোগ করে প্রধান শিক্ষকদের একাংশের দাবি, স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের যদি পদোন্নতি হয়, তা হলে তাঁদেরও পদোন্নতি বা বেতন কাঠামোর পরিবর্তন আনতে হবে। অন্যথায় রাজ্যের নতুন শিক্ষানীতিতে তাঁদের যে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে, তা স্পষ্ট হবে।
প্রধান শিক্ষকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এক জনের সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষকে পদোন্নতি ঘটলে তাঁর কেবলমাত্র একটা ইনক্রিমেন্ট হয় এবং অতিরিক্ত সাম্মানিক ভাতা হিসেবে ৫০০ টাকা অতিরিক্ত পান। এক জন প্রধান শিক্ষকের এ ছাড়া আর কোনও সুবিধা নেই। তাঁদের অভিযোগ, বেতন কাঠামোর কোনও পরিবর্তন হয় না।
নতুন শিক্ষানীতিতে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি বা প্রমোশন হলে তাঁদের বেতন কাঠামোর পরিবর্তন হবে। তা হলে একই প্রতিষ্ঠানে থেকে প্রধান শিক্ষকদেরই বা কেন হবে না, সেই প্রশ্নই তুলছেন তাঁরা?
প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন ‘অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টারস অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস’-এর রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতির দাবি, গত কয়েক বছরে প্রধান শিক্ষকদের দায়িত্বভার অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। পড়াশোনা সংক্রান্ত কাজ ছাড়াও কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে শিক্ষাশ্রী, ট্যাব-সাইকেল প্রদান, এই সমস্ত কাজই প্রধান শিক্ষকদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
চন্দন বলেন, ‘‘রাজ্যের নতুন শিক্ষানীতিতে সহকারী শিক্ষকদের মতো প্রধান শিক্ষকদেরও যদি পদোন্নতি না হয়, বেতন কাঠামোর পরিবর্তন যদি না হয় তা হলে পড়াশোনা সংক্রান্ত কাজের বাইরে এই অতিরিক্ত কাজ আমরা কেউ করব না। এই নিয়ে আমরা শিক্ষা দফতরে
চিঠি দিচ্ছি।’’ বাঙুরের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া বলেন, ‘‘গত কয়েক বছরে প্রধান শিক্ষকদের কাজ যে ভাবে বেড়েছে, তাতে আশা করা যায় শিক্ষা দফতর বেতন বাড়ানোর বিষয়টি ভেবে দেখবেন। না হলে অনেকেই প্রধান শিক্ষক হওয়ার আগ্রহ হারাতে পারেন।’’