অস্বস্তি বহাল সব্যসাচী দত্তের

কৌঁসুলি ও পুর-রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, এতে সব্যসাচীর অস্বস্তি কাটছে না। কারণ, এই নির্দেশের ফলে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বৈঠক আটকানো সব্যসাচীর পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৯ ০৩:৩৫
Share:

সব্যসাচী দত্ত।

বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে কাল, শুক্রবারের মধ্যে পুর আইন মেনে নতুন করে অনাস্থা বৈঠকের নোটিস পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কৌঁসুলি ও পুর-রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, এতে সব্যসাচীর অস্বস্তি কাটছে না। কারণ, এই নির্দেশের ফলে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বৈঠক আটকানো সব্যসাচীর পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ল। শুধু এটুকু বলা যায়, আজ, বৃহস্পতিবার অনাস্থা নিয়ে যে-বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, সেটা হয়তো কিছুটা পিছিয়ে গেল।

Advertisement

১৮ জুলাইয়ের অনাস্থা বৈঠকের নোটিসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছেন সব্যসাচী। বুধবার সেই মামলায় বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সনকে নির্দেশ দেন, শুক্রবার অর্থাৎ ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে মেয়রের কাছে অনাস্থা বৈঠকের নতুন নোটিস পাঠাতে হবে। এর অর্থ, বৃহস্পতিবার বৈঠক হয়তো করা যাচ্ছে না, তবে অনাস্থা বৈঠকের রাস্তা খোলাই রইল। বিচারপতি জানান, যে-পঁয়ত্রিশ জন কাউন্সিলর অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন, তাঁদের কাছেও নোটিস পাঠাতে হবে।

পুরসভা সূত্রের খবর, ৯ জুলাই ৩৫ জন কাউন্সিলর অনাস্থা প্রস্তাব পাঠান চেয়ারপার্সনের কাছে। চেয়ারপার্সন সে-দিনই পুর কমিশনারকে নির্দেশ দেন, মেয়র এবং ওই কাউন্সিলরদের কাছে অনাস্থা বৈঠকের নোটিস পাঠানো হোক। ৯ তারিখেই কমিশনার নোটিস পাঠান। চেয়ারপার্সনের বদলে কমিশনার সেই নোটিস পাঠানোয় মামলা করেন সব্যসাচী। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, একই দিনে অনাস্থা প্রস্তাব আনা, কমিশনারকে চেয়ারপার্সনের নির্দেশ এবং কমিশনারের নোটিস পাঠানোর মধ্যে তড়িঘড়ি ভাব রয়েছে।

Advertisement

সব্যসাচীর অভিযোগ, পুর আইন মেনে নোটিস পাঠানো হয়নি। তাই তার বৈধতা নেই। নোটিস খারিজ করা হোক বা তার উপরে স্থগিতাদেশ জারি করা হোক। মেয়রের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, তাঁর মক্কেলের অনাস্থার মুখোমুখি হতে আপত্তি নেই। কিন্তু আগে নিয়ম মেনে অনাস্থার নোটিস পাঠাতে হবে।

পুরপ্রধানের আইনজীবী, তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন আদালতে জানান, চেয়ারপার্সন পুর কমিশনারকে নির্দেশ দেন, নোটিস পাঠিয়ে অনাস্থা বৈঠকের ব্যবস্থা করতে হবে। পুর আইনে তাতে কোনও বাধা নেই। কল্যাণবাবু বলেন, ‘‘মেয়রকে দু’-তিন দিনের মধ্যেই অনাস্থার মুখোমুখি হতে হবে।’’

বিচারপতি জানান, কাউন্সিলরদের নিয়ে যাতে ‘ঘোড়া কেনাবেচা’ না-হয়, সেটা তাঁর মাথায় আছে। তাই দু’দিনের মধ্যে নোটিস পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। ৪১ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৩৫ জনই অনাস্থা এনেছেন। অতএব তার মুখোমুখি হওয়া উচিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement