—ফাইল চিত্র।
মদন মিত্রের কি আদৌ বাড়ি ফেরা হবে? ফিরলেও ঠিক কত দিনের জন্য তিনি ফিরতে পারবেন তা নিয়ে সংশয় আরও খানিকটা বেড়ে গেল। কারণ, বৃহস্পতিবার জামিন খারিজ মামলা নিয়ে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। এ দিন অবশ্য এই মামলার কোনও শুনানি ছিল না। আদালতের কাছ থেকে এই মামলার নোটিস মদনকে ধরানোর ছাড়পত্র নেওয়াই ছিল সিবিআইয়ের উদ্দেশ্য।
গত ৯ সেপ্টেম্বর আলিপুর আদালত থেকে জামিন পান মদন মিত্র। এর ঠিক চার দিন পরেই জামিনের বিরোধিতা করে হাইকোর্টে আবেদন করে সিবিআই। সিবিআইয়ের আশঙ্কা ছিল, তাঁর জামিনের সূত্র ধরেই সারদা কাণ্ডে প্রথম সারির অন্য অভিযুক্তেরাও জামিনের আর্জি জানাতে পারেন, যাতে তদন্তে অসুবিধায় পড়তে হতে পারে।
এ দিন বিচারপতি নিশীথা মাত্রে এবং বিচারপতি তাপস মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে এই মামলার নোটিস মদনের হাতে ধরানোর অনুমতি চাওয়া হয়। এর আগে এই নোটিস গ্রহণ না করে মদন মিত্র তা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। সেই ঘটনা সামনে এনে সিবিআইয়ের আইনজীবী ডিভিশন বেঞ্চকে জানান, এই মামলার জন্য ভবানীপুরে হোটেলে মদন মিত্রকে নোটিস দিতে গিয়েছিলেন সিবিআইয়ের এক কর্তা। কিন্তু মদন মিত্র সিবিআইয়ের সঙ্গে অত্যন্ত অসহযোগিতা করেছেন। দেখা না করেই তিনি নোটিস ফিরিয়ে দেন। তাই আদালতের কাছে এ দিন মদনকে এই মামলার নোটিস দেওয়ার অনুমতি চায় সিবিআই।
সিবিআইয়ের এই আর্জি মেনে নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, সিবিআই জামিন বিরোধিতা মামলার নোটিস মদনকে দিতে পারবে। তবে আদালতে অনেক মামলা জমে থাকায় এ দিন এর থেকে আর বেশি কিছু শুনতে চায়নি ওই বেঞ্চ। এই মামলার শুনানির তারিখ ৫ অক্টোবর ধার্য করা হয়েছে।
এ দিকে জামিনের ১৩ দিন পার হয়ে গেলেও আদালতের নির্দেশে নিজের বাড়িতে ফিরতে পারেননি মদন মিত্র। জামিনের শর্ত অনুসারে ভবানীপুরের একটি হোটেলেই উঠেছেন তিনি। বাড়ি ফিরতে চেয়ে আলিপুর আদালতে তাঁর আইনজীবীরা জামিনের শর্ত সংশোধনের আবেদন জানিয়েছেন। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।