ফাইল চিত্র।
কোষাগারে পড়ে থাকা বিচারপতি শ্যামল সেনের নেতৃত্বাধীন কমিশনের ১৩৮ কোটি টাকা কী ভাবে বিলি করা হবে, রাজ্যের কাছে তা জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ। বন্ধ হওয়ার সময় ওই কমিশন যে-রিপোর্ট রাজ্যকে দিয়েছিল, সেটিও জমা দিতে হবে।
সারদার গোষ্ঠীর কেলেঙ্কারি ধরা পড়ার পরে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে ২০১৩ সালে ‘শ্যামল সেন কমিশন’ তৈরি করেছিল রাজ্য। ২০১৫-য় সেই কমিশন বন্ধ হয়ে যায়। কমিশনকে দেওয়া ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে ১৩৮ কোটি রাজ্যকে ফেরত দেওয়া হয়। সেই টাকার কী হয়েছে, তা জানতে চেয়ে সুবীর দে নাম এক ব্যক্তি হাইকোর্টে মামলা করেছেন।
সুবীরবাবুর আইনজীবী শুভাশিস চক্রবর্তী ও অরিন্দম দাস জানান, ১৩৮ কোটি রাজ্যের কোষাগারেই আছে। রাজ্যের কৌঁসুলি অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ওই টাকা শুধু সারদার আমানতকারীদের দিলে অন্য সংস্থার আমানতকারীদের প্রতি বৈষম্য করা হবে। আদালত বলে, টাকা ফেরানোর বিষয়টি রাজ্যের নীতি। কাদের টাকা দেওয়া হবে, তা রাজ্য সরকারের বিষয়। কিন্তু কী ভাবে বিলি করা হবে, তা আদালতে জানাতে হবে।