কাঁচরাপাড়ায় তৃণমূলের কর্মিসভার মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
লোকসভা ভোটের আগে থেকেই তিনি অভিযোগ করে আসছিলেন, বিজেপি বাঙালি ও অবাঙালিদের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে। এ বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, বাংলায় থাকতে গেলে আগে বাংলা শিখতে হবে। তার পরে অন্য ভাষা।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘বহিরাগত’রা এখন এ রাজ্যে অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করছে। সেই সূত্রেই শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘আমি বিহারে বা উত্তরপ্রদেশে গেলে হিন্দি বলি। পঞ্জাবে গেলে পাঞ্জাবি ভাষায় বলি কয়েক লাইন। তামিলনাড়ুটা শুধু জানি না। তবু ‘ভানাক্কম’টা (নমস্কার) জানি। বাংলায় থাকতে হলে বাংলাটাও শিখতে হবে। তার পরে অন্য ভাষা।’’ কাঁচরাপাড়ায় তৃণমূলের কর্মিসভার মঞ্চ থেকে তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘বাংলায় থাকব আর বাইকে চেপে ভয় দেখিয়ে চলে যাব, এই ক্রিমিনালগিরি মানব না! পুলিশকে বলছি, দুষ্কৃতীদের থামান। গ্রেফতার করুন।’’ তৃণমূল শিবিরের বক্তব্য, ব্যারাকপুর লোকসভা আসনে বিজেপির জয়ের পরে এলাকায় অর্জুন সিংহের যে বাহিনী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, তাদের সম্পর্কেই এমন মন্তব্যে করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বাংলাকে কিছুতেই গুজরাত হতে দেবেন না, এই আবেদনও এ দিন ফের শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। তবে একই সঙ্গে তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘‘এর মানে গুজরাতের সব মানুষ খারাপ, এ রকম ধরে নেওয়া ঠিক নয়। কিন্তু কেউ যদি বলেন গাঁধীজি আর অমিত শাহ এক, তা হলে কিন্তু মানব না। দেশ স্বাধীন হওয়ার দিন গাঁধীজি এই কলকাতার বেলেঘাটায় অনশন করেছিলেন দাঙ্গা ঠেকানোর জন্য।’’
বিজেপির নেতারা বিভিন্ন এলাকায় দুষ্কৃতীদের টাকা দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। তৃণমূল কর্মী-সমর্থক এবং সাধারণ মানুষের কাছে তাঁর আবেদন, ‘‘পাপের বোঝা আপনারা কেন বহন করবেন? সংসার নিয়ে শান্তিতে থাকবেন।’’