Swastha Sathi

নতুন কার্ড পেতে ফের আবেদন,  স্বাস্থ্য পরিষেবায় বাড়ছে জটিলতা

অনেক ক্ষেত্রে হাসপাতাল থেকে শিবিরে দেওয়া স্বাস্থ্যসাথী কার্ডটি ‘ডুপ্লিকেট’ বলে ফিরিয়ে দিয়েছে হাসপাতাল। পরিষেবা পাননি কেউ কেউ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:৫৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

দুয়ারে সরকার শিবির থেকে ইতিমধ্যেই পাঁচ লক্ষের বেশি স্বাস্থ্যসাথী স্মার্ট কার্ড বিতরণ করেছে সরকার। নতুন পাওয়া কার্ড নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে কোনও কোনও ক্ষেত্রে তার মান্যতা নিয়ে সমস্যাও শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য ভবন জানতে পেরেছে, অনেক ক্ষেত্রে হাসপাতাল থেকে শিবিরে দেওয়া স্বাস্থ্যসাথী কার্ডটি ‘ডুপ্লিকেট’ বলে ফিরিয়ে দিয়েছে হাসপাতাল। পরিষেবা পাননি কেউ কেউ।

Advertisement

প্রাথমিক যাচাইয়ের পর স্বাস্থ্য ভবন জানাচ্ছে, একবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হয়ে থাকলে দ্বিতীয়বার যাঁরা কার্ড করিয়ে নিয়েছেন সমস্যা তাঁদের নিয়েই। অথবা পরিবার ভেঙে যাওয়ার কারণে নতুন করে যারা আলাদা কার্ড করাতে এসেছেন তাঁদের ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্বাস্থ্য কর্তাদের অনুরোধ, আগে থেকে কার্ড হয়ে থাকলে আর নতুন করে আবেদন করার প্রয়োজন নেই। আর যদি কার্ড করাতেই হয় তা হলে অবশ্যই তার ‘ভ্যালিডেশন’ করাতে হবে। নইলে স্বাস্থ্যসাথীর মূল ডেটাবেসের সঙ্গে কার্ড প্রাপকের কার্ড যথাযথভাবে সংযুক্ত না থাকলে হাসপাতাল থেকে পরিষেবা মিলবে না।

কেন সমস্যা হচ্ছে? কর্তারা জানাচ্ছেন, আবেদন জমা পড়ার পর স্বাস্থ্য দফতর আবেদনকারীর আধার কার্ডের মাধ্যমে নাম-ঠিকানা যাচাই করছে। এরপর ওই পরিবারের নামে যে কার্ড দেওয়া হচ্ছে তার চিপ নম্বরও সংযুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। অনেকের ধারণা, এ বারের কার্ডটিতে বেশি সুবিধা রয়েছে। ফলে আগে যাঁরা কার্ড করিয়েছেন তাঁরাও দুয়ারে সরকার শিবিরে এসে নতুন করে আবেদন করছেন। দেখা যাচ্ছে, ওই আধার নম্বরে আগে থেকেই কোনও কার্ডের সংযুক্তিকরণ হয়ে রয়েছে। সে ক্ষেত্রে নতুন কার্ডটি ‘ডুপ্লিকেট’ বলে চিহ্নিত হয়ে যাচ্ছে। এমন কার্ড নিয়ে যাঁরা হাসপাতালে যাবেন তাঁরা পরিষেবা পেতে সমস্যায় পড়তে পারেন বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।

Advertisement

স্বাস্থ্য ভবন জানাচ্ছে, এক বার কার্ড হয়ে থাকলে আর নতুন করে আবেদন করার দরকার নেই। পুরনো কার্ডেই কাজ চলবে। এক কর্তার কথায়,‘‘ডেটাবেসে ডুপ্লিকেট হিসাবে নথিভূক্ত কার্ড নিয়ে কেউ যদি ভেলোরে পৌঁছে যায়, তা হলে সমস্যায় পড়বেন। তাই ভুলভ্রান্তি দেখে নিতে হবে।’’

স্বাস্থ্য কর্তারা জানাচ্ছেন, কোনও পরিবারের সরকারি চাকুরে বা পেনশনভোগী থাকলেও ২১ বছরের বেশি বয়সি ছেলেমেয়েরা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করাতে আবেদন করছেন। আইনত সেই আবেদন গ্রহণ করতে হচ্ছে। সেই আবেদনগুলি নিয়েও কিছু জটিলতা রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে গত দু’তিন বছরে পরিবার ভেঙে গিয়েছে। ফলে আলাদা ভাবে কার্ড করার আবেদন জমা পড়ছে। তবে সব মিলিয়ে স্বাস্থ্যসাথী ঘিরে দুয়ারে সরকার প্রকল্পে আগ্রহ সবচেয়ে বেশি। যা আবেদন জমা পড়েছে তার ৭৩% স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড পেতেই। কর্তারাও তাই যথাসম্ভব ত্রুটিমুক্ত পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে দাবি করেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement