ফাইল চিত্র।
নদিয়ার হাঁসখালি গণধর্ষণ-কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের জন্য ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন করা হল কলকাতা হাই কোর্টে। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাকারী আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাসের হয়ে এই আবেদন দাখিল করেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। আবেদনটির দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছেন তিনি। বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
এপ্রিলের গোড়ায় নাবালিকা প্রেমিকাকে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে গাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সমর গয়ালির ছেলে ব্রজগোপালের বিরুদ্ধে। অত্যধিক রক্তপাতে ওই নাবালিকার মৃত্যু হয়। তার পরে রাতারাতি ওই নাবালিকার দেহ জোর করে দাহ করানোর অভিযোগ ওঠে ওই তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। ব্রজগোপালের বিরুদ্ধে হাঁসখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার বাবা এবং মা। এর পরেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ব্রজগোপালের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ধর্ষণ, খুন-সহ কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলা রুজু করা হয়েছে পকসো আইনেও।
আপাতত বিষয়টি তদন্ত করছে সিবিআই। ব্রজগোপালের পাশাপাশিই তার বাবাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে টানা জেরাও চলছে। ঘটনাটি নিয়ে আলোড়িত হয়েছে রাজ্য-রাজনীতি। বিরোধী শিবির ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে শাসক তৃণমূল এবং রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দাগা শুরু করেছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নির্যাতিতার বাড়িতেই গিয়েছেন। পক্ষান্তরে, নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সেই সূত্রেই শাসক শিবিরের বক্তব্য, বিরোধীরা বিষয়টির উপর ‘রাজনৈতিক রং’ চড়াচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, নির্যাতিতার সঙ্গে ধৃত ব্রজগোপালের সম্পর্ক ছিল। তার জেরে ওই নির্যাতিতা অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়ে থাকতে পারে।