বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও বেশ কয়েক বার সিবিআই তদন্ত চলাকালীন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হল নদিয়ার হাঁসখালিতে। আবারও অন্ধকারের মধ্যে নির্যাতিতা নাবালিকার বাড়ির আশপাশে তল্লাশি চালাতে হল তদন্তকারী আধিকারিকদের। এই ঘটনায় বিদ্যুৎ দফতরের তরফে আবহাওয়াকে দায়ী করা হলেও পর পর দু’দিন একই কাণ্ড ঘটায় সন্দিহান স্থানীয়রা।
সিবিআই তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর থেকেই হাঁসখালির শ্যামনগর গ্রামের নির্যাতিতার বাড়ি, মূল অভিযুক্ত ব্রজগোপাল গয়ালির বাড়ি এবং শ্মশান চত্বরে একাধিক বার তল্লাশি চালিয়েছে। তাতে কখনও উদ্ধার হয়েছে রক্তমাখা জামা, শ্মশান থেকে হাড়ের টুকরো। অভিযুক্তের বাড়ি থেকেও মিলেছে বীর্য ও রক্তের নমুনা, একটি মোবাইল ফোন। বৃহস্পতিবার তদন্তকারী আধিকারিকেরা নির্যাতিতার বাড়িতে আসার পরেই ‘লোডশেডিং’ হয়ে অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল ওই এলাকা। ওই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটল শুক্রবার।
তখন সন্ধ্যা ৫টা বেজে ৪৫ মিনিট। সিবিআই তখন নির্যাতিতার বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে। হঠাৎই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিদ্যুৎ সংযোগ। আধ ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুৎ এলেও তার পর থেকে চার-পাঁচ বার দফায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে ওই এলাকায়। যদিও তাতে তদন্তকারীদের কাজে বিশেষ অসুবিধে হয়নি। টর্চ জ্বেলেই তল্লাশি চালিয়েছেন তাঁরা।
তবে ওই এলাকার বাসিন্দা রাজীব দাস বলছেন, ‘‘মাঝে মাঝে লোডশেডিং হয় ঠিকই, তবে বিনা কারণে বার বার এই রকম হতে দেখি না। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না বলতে পারব না।’’ বৃহস্পতিবারে লোডশেডিঙের জন্য খারাপ আবহাওয়া কারণ দেখানো হলেও শুক্রবারের বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি বিদ্যুৎ বিভাগ।
সিবিআই তদন্তের সময়ে ঘন ঘন লোডশেডিঙের ঘটনায় শাসকদলের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছে বিজেপি। স্থানীয় বিজেপি নেতা সুকান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘শাসকদল প্রথম থেকে তদন্তকে প্রভাবিত করতে চাইছে। আড়াল করতে চাইছে অপরাধীদের। বিদ্যুৎ-সংযোগে বিঘ্ন ঘটিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করছে তারা।’’
যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা শুকদেব বিশ্বাস বলেন, ‘‘হাস্যকর যুক্তি দিয়ে প্রচারে থাকতে চাইছে বিজেপি। অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’’