শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্বাইয়ের সঙ্গে দেখা করলেন কর্নাটকের মন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পা
দুর্নীতি এবং আত্মহত্যার ঘটনায় নাম জড়িয়ে যাওয়ায় শেষমেশ পদত্যাগ করলেন কর্নাটকের মন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পা। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্বাইয়ের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে আসার আগে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র শিবামোগ্গায় সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘আবার ফিরে আসব।’’
সন্তোষ পাটিল নামে এক ঠিকাদারকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে বিপাকে পড়েছিলেন ঈশ্বরাপ্পা। তিনি আর মন্ত্রী থাকবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। সেই জল্পনাই সত্যি হল। শুক্রবার সন্ধ্যা ঈশ্বরাপ্পা নিজের বাড়ি থেকে বেরোনোর পরেই সমর্থকেরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে, এই দাবি তুলে প্রতিবাদও করেন অনেকে। তাঁদের উদ্দেশে ঈশ্বরাপ্পার বার্তা, ‘‘আমি দলের ক্ষতি করতে চাই না। তাই, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আজই পদত্যাগপত্র জমা দেব। আমি নিশ্চিত, সমস্ত অভিযোগ থেকেই মুক্ত হব আমি। এ রাজ্যের বহু দলীয় কর্মী থেকে শুরু করে নেতা-বিধায়কেরা আমায় সমর্থন করছেন।’’
ঈশ্বরাপ্পার বিরুদ্ধে ৪০ শতাংশ কমিশন চাওয়ার অভিযোগ তুলে কংগ্রেস বিধায়ক প্রিয়ঙ্ক খড়্গ বলেছেন, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের দুর্নীতি-কাণ্ডে আরও অনেকেই জড়িয়ে রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধেও শাস্তির দাবি তুলেছেন প্রিয়ঙ্ক। ওই প্রসঙ্গে ঈশ্বরাপ্পা বলেন, ‘‘আর কারা কারা জড়িত আছেন, উনি (প্রিয়ঙ্ক খড়্গ)-ই বলে দিন।’’
কর্নাটকের উদুপির একটি লজে বুধবার আত্মহত্যা করেন ৩৭ বছরের সন্তোষ। মৃত্যুর আগে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর বন্ধু ও পরিজনকে জানান, তাঁর মৃত্যুর জন্য মন্ত্রী ঈশ্বরাপ্পাই দায়ী। মৃত ঠিকাদারের অভিযোগ, তিনি পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের কাজ করেছিলেন। বিল হয়েছিল চার কোটি টাকা। তার ৪০ শতাংশ কমিশন চেয়েছিলেন ঈশ্বরাপ্পা। তাঁর স্ত্রী ও সন্তানকে সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার কাছে আবেদন জানিয়েছেন সন্তোষ। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে সন্তোষের ভাই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তাতে ১ নম্বর অভিযুক্তের নাম ঈশ্বরাপ্পা। যদিও প্রাক্তন মন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘ওই সুইসাইড নোট মিথ্যে। তার কোনও ভিত্তি নেই। হোয়াটসঅ্যাপকে সুইসাইড নোট হিসাবে ধরা হয় নাকি? অন্য কেউ তো টাইপ করে দিতে পারে।’’