বাড়িতে গিয়ে মুকুল রায়ের পাঠানো টাকা আর আশ্বাস দিলেন শান্তনু

দল বদলে প্রতিবন্ধী যুবককে সাহায্য

বছর দু’য়েক ধরে প্রশাসন এবং দলের নেতাদের দ্বারস্থ হয়েও প্রতিবন্ধী ভাতা মেলেনি বলে অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত এক যুবক। শুক্রবার বিজেপি-তে যোগ দিয়ে সাঁইথিয়া পুরসভার কাউন্সিলর শান্তনু রায় ওই যুবকের হাতে সাহায্য তুলে দিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ময়ূরেশ্বর শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৭ ০১:০৪
Share:

পাশে: সীতারামের বাড়িতে।  নিজস্ব চিত্র

বছর দু’য়েক ধরে প্রশাসন এবং দলের নেতাদের দ্বারস্থ হয়েও প্রতিবন্ধী ভাতা মেলেনি বলে অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত এক যুবক। শুক্রবার বিজেপি-তে যোগ দিয়ে সাঁইথিয়া পুরসভার কাউন্সিলর শান্তনু রায় ওই যুবকের হাতে সাহায্য তুলে দিলেন। জানালেন, খবর পেয়ে মুকুল রায় ওই টাকা পাঠিয়েছেন। শান্তনু সাঁইথিয়ার আনন্দদুলাল মেমোরিয়াল ট্রাস্টের কর্ণধারও। ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ওই যুবককে নিয়মিত কিছু সাহায্য করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর নয়েক আগে বাস থেকে পড়ে শিরদাঁড়া ভেঙে যায় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত ময়ূরেশ্বরের লোকপাড়া গ্রামের সীতারাম হাজরার। চিকিৎসা করাতে গিয়ে প্রায় ঘটিবাটি বেচে দিতে হয়েছিল। কিন্তু আর উঠে দাঁড়াতে পারেননি। সোজা হয়ে বসতেও পারেন না। দিন মজুরি করে সংসার চলত সীতারামের। সেই পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে স্ত্রী সবিতা পরিচারিকার কাজ নেন। মেয়ে এ বারে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। গানের দলে নাম লিখিয়ে দূর দূরান্তে ছুটে বেড়ায় সে। ছেলে নবম শ্রেণির পড়ুয়া। দিদির সঙ্গে যেতে হয় তাকেও। সংসার চালাতে গিয়ে দুই ছেলেমেয়র লেখাপড়ায় এ ভাবে খুবই ক্ষতি হয় বলে আক্ষেপ করেন সবিতা।

সীতারামের শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ৮৫ শতাংশ। দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস। তাঁর অভিযোগ, বছর দু’য়েক আগে পঞ্চায়েত সমিতিতে ভাতার জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু মেলেনি। প্রশাসন এবং দলের নেতাদের কাছে বারে বারে তদ্বির করেও লাভ হয়নি কোনও। সেই খবর সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। যদিও ময়ূরেশ্বর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কল্যাণী দাস দাবি করেছিলেন, সীতারাম কোনও আবেদন পত্র জমা দেননি। খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছিলেন বিডিও।

Advertisement

ইতিমধ্যেই, শুক্রবার বিজেপি-তে যোগ দেন সাঁইথিয়ার আনন্দদুলাল মেমোরিয়াল ট্রাস্টের কর্ণধার তথা তৃণমূলের টিকিটে জেতা সাইথিয়া পুরসভার কাউন্সিলর শান্তনু রায়। ওই দিনই সীতারামের ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার জন্য আনন্দদুলাল রায় মেমোরিয়াল ট্রাস্টের পক্ষ থেকে প্রতিমাসে ৫০০ টাকা করে সাহার্য্যের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। বলেন, ‘‘দাদাকে (মুকুল রায়) খবরের কাটিং দেখানোর পরেই উনি সীতারামের জন্য ২৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিয়েছেন। ওই যুবকের ছেলেমেয়েরা যত দিন নিজের পায়ে না দাঁড়াবে, ট্রাস্টের পক্ষ থেকে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে সাহায্য করা হবে।’’

এই ঘটনায় আপ্লুত সীতারাম। তিনি বলেন, ‘‘ভাবতেও পারিনি কেউ বাড়িতে এসে এ ভাবে সাহায্য করে যাবেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement