অজয় এডওয়ার্ড। ফাইল চিত্র।
দার্জিলিঙে বন্ধ ডেকেও তা স্থগিত করে কার্যত অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছেন অজয় এডওয়ার্ড, বিনয় তামাংরা। সম্প্রতি অজয়ের দল হামরো পার্টি নতুন করে রাজ্য সরকার ও জিটিএ-র বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। তাদের এখন প্রশ্ন, জিটিএ-র সভায় সর্বসম্মতিক্রমে পাশ করা পৃথক রাজ্যের দাবি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আলোচনা কোথায়! অনীত থাপার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সভা থেকে শুরু করে সামাজিক মাধ্যমে এই প্রশ্ন করেছেন অজয়। এর সঙ্গেই পাহাড়বাসীকে ‘বহিরাগতের দল’ বলা হয়েছে বলে অভিযোগ করে কার্শিয়াং শহরে পোস্টার সেঁটেছে হামরো পার্টি। তাদের অভিযোগ, বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী প্রস্তাবের আলোচনায় রাজ্যের এক মন্ত্রী ওই কথা বলেছেন।
অজয় বলেছেন, ‘‘গত সেপ্টেম্বরে জিটিএ-র প্রথম সভা হয়। সেখানে ১ নম্বর অ্যাজেন্ডা হিসাবে সর্বসম্মতিক্রমে আলাদা রাজ্যের দাবি নিয়ে আলোচনার রাস্তা তৈরির প্রস্তাব গৃহীত হয়। কিন্ত অনীত থাপা এখন কিছু বলছেন না। পাহাড়বাসী ওঁর কাছে জানতে চায়।’’ বিনয় তামাংও বলেছেন, ‘‘পুরোটাই রাজনৈতিক নাটক। পাহাড়ের আবেগের দাবি ষড়যন্ত্র করে চাপা দেওয়া হচ্ছে।’’
মঙ্গলবার কার্শিয়াং যান অজয় এবং তাঁর দলের লোকজন। সেখানে বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মার সঙ্গে তাঁরা বৈঠক করেন। বিজেপি বিধায়ক বিধানসভায় আলাদা রাজ্যের দাবি নিয়ে সরব হওয়ায় তাঁকে অভিনন্দন জানানো হয়। এর আগে, বিমল গুরুংয়ের দল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাও বিজেপির কার্শিয়াং, দার্জিলিঙের দুই বিধায়ককে সংবর্ধনা দেয়। সেখানেও অজয় ছিলেন। বন্ধ স্থগিত রাখা হলেও অজয়, বিনয়দের লক্ষ্য যে অনীত, জিটিএ এবং রাজ্য সরকার, তা পরিষ্কার বলে পাহাড়ের নেতারা মনে করছেন।
প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি তথা জিটিএ প্রধান অনীত অবশ্য বলেন, ‘‘ওঁরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন বলেই মনে হচ্ছে। যা করতে চাইছেন, কোনওটাতেই সাফল্য পাচ্ছেন না।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘জিটিএ সভায় সবাই মিলে আলাদা রাজ্যের আলোচনার চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তা সরকারের কাছে জানানো হয়েছে। আর আলাদা রাজ্য তো কেন্দ্রীয় বিষয়। এখন তাঁরা কিছু না করলে, আমরা কী করব?’’
তৃণমূলের পাহাড়ের সভানেত্রী এবং সাংসদ শান্তা ছেত্রী বলেছেন, ‘‘বাংলা ভাগের প্রশ্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বিরুদ্ধ-অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছেন। এ নিয়ে নতুন করে কী বলার রয়েছে!’’