মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
চূড়ান্ত ঝুঁকি নিয়ে বহু স্তরের নিরাপত্তা বলয় পেরিয়ে হাফিজুল মোল্লা ঠিক কী কারণে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ঢুকে বসে ছিলেন, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে তাঁর মানসিক সমস্যার সম্ভাবনার কথা উঠছিল। অনুপ্রবেশের অভিযোগে হাফিজুলকে গ্রেফতার করে পুলিশও প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছিল, ওই ব্যক্তির মানসিক অসুস্থতা থাকতে পারে। কিন্তু চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ধৃতের কোনও মানসিক সমস্যা ধরা পড়েনি।
এই মর্মে বুধবার আলিপুর আদালতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারকের এজলাসে চিকিৎসকদের রিপোর্ট জমা পড়েছে। তা হলে ঠিক কোন উদ্দেশ্য নিয়ে হাফিজুল সেই গভীর রাতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকেছিলেন, সেই প্রশ্নটাই এখন বড় হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে পুলিশের একটি বৃহৎ অংশের অভিমত।
মাস দেড়েক আগে ওই মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব চলছে। সম্প্রতি হাফিজুলের আইনজীবী আদালতে আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘‘আমার মক্কেল অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছেন। তাঁর মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে।’’ সরকারি আইনজীবী সৌরীন ঘোষাল বিচারকের কাছে আবেদন জানান, সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের দিয়ে হাফিজুলের শারীরিক ও মানসিক পরীক্ষা করা হোক। বিচারক তার পরেই এসএসকেএম (পিজি) হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করে হাফিজুলের মানসিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দেন।
চিকিৎসকদের তরফে এ দিন আদালতে জানানো হয়, হাফিজুলের চিকিৎসার যাবতীয় তথ্য যাচাই করা হয়েছে। তাঁকে পরীক্ষা করে তেমন কোনও মানসিক অসুস্থতা পাওয়া যায়নি। বিচার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে তাই তেমন কোনও বাধা নেই।