ফাইল ছবি।
পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন আগামী ২৬ জুন। তার আগে তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য শোনা গেল দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তার গলায়। বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে তিনি প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিমল গুরুংয়ের। পাশাপাশি আসন্ন ভোট নিয়ে বিরোধিতার সুরও শোনা গেল রাজুর গলায়। রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। যদিও প্রশাসনের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে হাজির ছিলেন মোর্চার প্রতিনিধি।
জিটিএ ভোট নিয়ে পাহাড়ে মিশ্র সুর। সরকারি সূত্রের খবর, জেলাশাসকের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে মোট ১৮টি দলকে ডাকা হয়েছিল। তার মধ্যে হাজির ছিল ১৬টি দল। গরহাজির বিজেপি এবং জিএনএলএফের প্রশ্ন, জিটিএর অস্তিত্ব আদালতে বিচারাধীন। তা হলে সেখানে নির্বাচন ঘোষণা হয় কোন এক্তিয়ারে? এই দাবিতে রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে দু’টি দলই।
অন্য দিকে, সর্বদলীয় বৈঠকে গেলেও জিটিএ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সিংমারির দলীয় কার্যালয়ে রিলে অনশনে বসেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। তারা কি জিটিএ ভোটে লড়বে? সেই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর মেলেনি। সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি শুধু জানিয়েছেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।
হামরো পার্টির পক্ষে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে তারা জিটিএর অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুললেও, ভোটে লড়াই করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রতিক্রিয়া মেলেনি ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সুপ্রিমো অনিত থাপারও। যদিও অনিত প্রথম থেকেই জিটিএ নির্বাচনের পক্ষে।
দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বলেন, ‘‘জিটিএ নির্বাচন হাতেগোনা বাংলার কয়েক জন নেতা ও ঠিকাদারদের টেন্ডার প্রসেস। আইনের সাহায্য নিয়ে, রাস্তায় নেমে জিটিএ নির্বাচনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব। ভোট হতে দেব না।’’
একই সুরে জিএনএলএফের মুখপাত্র নিরজ জিম্বা বলেন, ‘‘তৃণমূলের এবিসিডি দলগুলো অল পার্টি মিটিংয়ে অংশ নিয়েছে। আমরা নির্বাচনের বিপক্ষে। আদালতে বিচারধীন জিটিএ। সেই জিটিএ নিয়ে রাজ্য কী ভাবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয়! নির্বাচন হলে আমরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করব।’’