Nabanna

গ্রামসভায় অনুমোদন করিয়ে খরচ করতে হবে আবাস যোজনার অর্থ, রাজ্যকে নির্দেশ কেন্দ্রের

সেই অর্থ খরচের প্রাথমিক শর্তে বলা হয়েছে, গ্রামসভায় অনুমোদন করিয়ে খরচ করতে হবে সেই অর্থ। এই সংক্রান্ত বিষয়ে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব নগেন্দ্রনাথ সিংহর ছ’দফা নির্দেশিকাও এসেছে নবান্নে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২২ ১৫:২৪
Share:

রাজ্যকে গ্রামোন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ করেও শর্ত বেঁধে দিল কেন্দ্র। ফাইল চিত্র।

সম্প্রতি গ্রামীণ আবাস যোজনায় অর্থ বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গ্রামীণ আবাসন নির্মাণের জন্য ৮২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই অর্থে ১১ লক্ষ গ্রামীণ মানুষের মাথার উপর ছাদের বন্দোবস্ত করে দিতে হবে পঞ্চায়েত দফতরকে। কিন্তু সেই অর্থ খরচের বেশ কিছু শর্তও বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক।

Advertisement

কেন্দ্রীয় বরাদ্দ অর্থ খরচের প্রাথমিক শর্তে বলা হয়েছে, গ্রামসভায় অনুমোদন করিয়ে খরচ করতে হবে। সূত্রের খবর, এই সংক্রান্ত বিষয়ে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব নগেন্দ্রনাথ সিংহর ৬ দফা নির্দেশিকাও এসেছে নবান্নে। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে গ্রামসভার মাধ্যমে নির্দিষ্ট করে ফেলতে হবে ১১ লক্ষ উপভোক্তার নাম। নাম ঠিক করার সঙ্গে সঙ্গেই প্রথম কিস্তির টাকাও পাঠিয়ে দিতে হবে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।

এই প্রক্রিয়ার অন্যথা হলে কড়া ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে গ্রামোন্নয়ন দফতর। এমনকি, নির্ধারিত এই এক মাসের মধ্যে গ্রামসভার কাজ সম্পূর্ণ করে অর্থ বরাদ্দ না করতে পারলে বরাদ্দ বাতিল করে দিতে পারবে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই কারণে ট্রেজারি থেকে রাজ্যের এবং কেন্দ্রের ভাগের টাকা সময় মতো একটি নোডাল অ্যাকাউন্টে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। পাশাপশি চালিয়ে যেতে হবে সোশ্যাল অডিটও। অর্থ নয়ছয় সংক্রান্ত অভিযোগ যে কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না, তা-ও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের দেওয়া গাইডলাইন অনুযায়ী, প্রকল্পের নাম এবং লোগো ব্যবহার করতে হবে আবাস যোজনা প্রকল্পের অধীন তৈরি প্রতিটি বাড়িতে। অন্য কোনও নাম বা লোগো চলবে না। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একাধিক চিঠি দিয়েছেন। এমনকি, বেশ কিছু ‘তথ্যপ্রমাণ’ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি। তাই মনে করা হচ্ছে, এ বার প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে রাজ্য যাতে বিকল্প কোনও সিদ্ধান্ত নিতে না পারে, তার সব রাস্তাই বন্ধ করে দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার।

পাশাপাশি, ‘এরিয়া অফিসার্স মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন’ ব্যবহার করে নজরদারি চালাতে হবে ব্লক পর্যায়ের আধিকারিকদের। প্রকল্প শেষ করার সময়সীমা ধার্য হয়েছে ২০২৪ সালের মার্চ। প্রতি পর্যায়ের কাজ ৩ মাসে শেষ করতেই হবে, না হলে প্রকল্প সম্পূর্ণ হবে না। তা না হলে বরাদ্দ বাতিল করতে পারবে কেন্দ্রীয় সরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement