শুভেন্দু অধিকারী।
কোন পথে কোথায় যাচ্ছে, কখন কোথায় আছে, তা জানান দিতে ওলা, উবেরের মতো বিভিন্ন সংস্থার গা়ড়িতে যন্ত্রের ব্যবস্থা আছে প্রথম থেকেই। এ বার কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের নির্দেশ, সব বাণিজ্যিক গাড়িতেই ‘গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম’ (জিপিএস) যন্ত্র থাকা চাই। সেই নির্দেশিকা মেনে ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকারও।
পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানান, ১ এপ্রিল দেশে এই ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। রাজ্যে ধীরে ধীরে সব গা়ড়িতে এই যন্ত্র বসানো হবে। মন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রস্তুতকারক সংস্থা নতুন গাড়িতে এই যন্ত্র বসিয়েই বাজারে ছাড়বে। পুরনো গাড়িকে ‘সার্টিফিকেট অব ফিটনেস’ (সিএফ) নেওয়ার সময়ে এটা বসাতে হবে।’’ বাণিজ্যিক গাড়ি বলতে বাস, ট্যাক্সি, লরি, ম্যাটাডর ভ্যান ইত্যাদিকে ধরা হচ্ছে।
পরিবহণ দফতরের এক কর্তা জানান, অনেক সময়েই চালক মাঝপথে পণ্য-সহ গাড়ি নিয়ে উধাও হয়ে যান। জিপিএস যন্ত্র বসলে পুলিশ, প্রশাসন ও গাড়ি-মালিক নজর রাখতে পারবেন, গা়ড়ি কখন কোথায় রয়েছে, কোন পথে যাচ্ছে। কোনও গড়বড় নজরে এলেই মালিক সতর্ক করে দিতে পারবেন পুলিশকে।
বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের সভাপতি স্বর্ণকমল সাহা বলেন, ‘‘মাত্র পাঁচ হাজার টাকার এই যন্ত্র বসালে গাড়ি-মালিকদের অনেক সুবিধা হবে।’’ জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটসের সদস্য সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়ের মতে, ‘প্যানিক বাটন’ বসানোর নির্দেশও এসেছে। বিপদে প়়ড়ে বাসের চালক বা কন্ডাক্টরের সাহায্য না-মিললে যাত্রীরা ওই বোতামে চাপ দিয়ে পুলিশ এবং বাস-মালিককে সতর্ক করতে পারবেন।
জিপিএস বসানোর উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছে ট্যাক্সি-মালিক সংগঠন। ওলা, উবেরের দাপটে হলুদ ট্যাক্সি কলকাতায় কিছুটা কোণঠাসা। অনেক মহিলা রাতে হলুদ ট্যাক্সিতে উঠতে ভরসা পান না। সংগঠনের নেতাদের আশা, জিপিএস ও প্যানিক বোতাম লাগালে হলুদ ট্যাক্সিকে নিরাপদ মনে করবেন মহিলারা। কোনও চালক অসভ্যতা বা দুর্ব্যবহার করার আগে দু’বার ভাববেন।