ছবি: পিটিআই।
করোনার ধাক্কায় স্বাধীনতা দিবসে রাজ্য সরকারের কুচকাওয়াজ থেমে যেতে পারে। কিন্তু রাজভবনের ‘চা-চক্র’ থামছে না! বরং, সে দিন ওই অনুষ্ঠানেই করোনা যোদ্ধাদের সম্মানিত করতে চান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
রেড রোডে ১৫ অগস্ট কুচকাওয়াজ-সহ রাজ্য সরকারের যে পূর্ণাঙ্গ অনুষ্ঠান গত কয়েক বছর ধরে হয়ে আসছে, করোনা পরিস্থিতির কারণেই এ বার তা হবে না। আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা তুলবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে অতিথি এবং দর্শক সমাগম ঘটিয়ে খোলামেলা অনুষ্ঠান বিশেষ পরিস্থিতিতে এ বার হচ্ছে না। ওই দিনই সন্ধ্যায় রাজভবনে প্রথামাফিক চা-চক্রের অনুষ্ঠানে অতিথি আপ্যায়ন করেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রীও সেখানে আমন্ত্রিত থাকেন। এই বছর সেই অনুষ্ঠান কী ভাবে হবে, তা ঠিক করার ভার সংশ্লিষ্ট রাজ্যপালদের উপরেই ছেড়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবং তার পরেই সক্রিয় হয়েছেন ধনখড়।
রাজভবন সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, আগামী ১৫ অগস্টের চা-চক্র তিনি বন্ধ রাখতে চান না। তবে পরিস্থিতির বিচারে ছোট আকারে, স্যানিটাইজ করেস স্বাস্থ্যবিধি মেনেই অনুষ্ঠান হবে। সেই অনুষ্ঠানেই বাছাই করা চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাই কর্মী এবং করোনা থেকে সেরে ওঠা কিছু মানুষকে আমন্ত্রণ জানাতে চান তিনি। করোনার মতো অতিমারির বিরুদ্ধে তাঁদের লড়াইয়ের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য রাজভবনের অনুষ্ঠানে ওই করোনা-যোদ্ধাদের ডাকতে চান রাজ্যপাল। এবং তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রাজ্যপালের আর্জি, ওই অনুষ্ঠানের বিষয়ে আলোচনার জন্য তিনি যেন প্রশাসনের কোনও প্রতিনিধিকে দ্রুত রাজভবনে পাঠিয়ে দেন।
সংক্রমণ মোকাবিলা, লকডাউন এবং আনলক কার্যকর করার বিবিধ প্রশাসনিক তৎপরতার মাঝেই রাজভবনের চায়ের জন্য আলোচনার ডাক! ভাবনায় পড়েছে বিস্মিত নবান্ন!
এ সবের আগে রাজ্যপাল অবশ্য রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেই ডেকেছিলেন। টুইটে ধনখড়ের মন্তব্য, ‘‘উদ্বেগজনক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং পুলিশের রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ডেকে পাঠিয়েছিলাম। বিরোধীদের বেছে বেছে হেনস্থা করা হচ্ছে। রাজ্যপাল ডাকলে রাজভবনে এসে রিপোর্ট করে যাওয়া মুখ্যমন্ত্রীর সাংবিধানিক কর্তব্য।’’