এই ছবিই ফের দেখা যাবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। —ফাইল চিত্র।
নজরুল মঞ্চে আজ, মঙ্গলবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন। কিন্তু সেই মঞ্চে শেষ পর্যন্ত কারা থাকবেন, সোমবার বেশি রাত পর্যন্ত তার সবটুকু স্পষ্ট হয়নি।
সমাবর্তনের আমন্ত্রণপত্রে কারও নাম নেই। তবে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, আচার্য-রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ওই সমাবর্তনে যাবেন। রবিবার পর্যন্ত আমন্ত্রণপত্র পায়নি রাজভবন। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবাশিস দাস রাজভবনে গিয়ে আচার্যকে আমন্ত্রণ করে এসেছেন।
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমাবর্তনে যাবেন কি না, সেই প্রশ্ন দিনভর ঘুরপাক খেয়েছে। সমাবর্তন চলাকালীন গাঁধী-মূর্তির কাছে সিএএ-বিরোধী আন্দোলন নিয়ে শিল্পীদের সমাবেশে থাকার কথা তাঁর। তাই তাঁর সমাবর্তনে যাওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই পর্যবেক্ষকদের ধারণা।
আরও পড়ুন: জনগণনা, এনপিআর এক নয়, বুঝেই সরে এসেছি: মমতা
তবে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি সমাবর্তনে যাচ্ছেন না। সমাবর্তনে সাম্মানিক ডি-লিট দেওয়া হচ্ছে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দীক্ষান্ত ভাষণ দেবেন তিনিই। সোমবার সন্ধ্যায় শহরের একটি অভিজাত ক্লাবে অভিজিৎবাবুকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। শিক্ষামন্ত্রী যে সমাবর্তনে থাকছেন না, এ দিনের অনুষ্ঠানে অভিজিৎবাবুকে তা জানান পার্থবাবু। বলেন, তিনি অভিজিৎবাবুর প্রতি কোনও অমর্যাদা দেখাতে চান না। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ যে-মঞ্চে উপস্থিত, সেখানে শিক্ষামন্ত্রীর অনুপস্থিতির যাতে কোনও রকম ভুল ব্যাখ্যা না-হয়, সেই জন্যই সমাবর্তনে না-থাকার কথা আগাম জানালেন তিনি।
তার আগে বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘সমাবর্তনে যাচ্ছি না। যে যায় যাবে! একটা চিঠি দিয়ে বলল আর চলে যাব, এ ভাবে হতে পারে না।’’ মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষা সংক্রান্ত কোনও অনুষ্ঠানে গেলে শিক্ষামন্ত্রীর সেখানে উপস্থিত থাকাটাই রেওয়াজ। তাই শিক্ষামন্ত্রীর এই সুস্পষ্ট অবস্থানের পরে সমাবর্তনে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি ঘিরে সংশয় রয়েছে।