টুইট করে বিধানসভার অধিবেশন সমাপ্তির ঘোষণা রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের। নিজস্ব চিত্র।
বিধানসভা অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণা করে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ খনখড়। শনিবার নিজের টুইটার হ্যান্ডলে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিধানসভার অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণা করে দেন তিনি। সংবিধানের ১৭৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী তাঁর এই ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকার রয়েছে বলে দাবি করেছেন ধনখ়়ড়। ১২ ফেব্রুয়ারি শনিবার থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে বিধানসভার দু'টি অধিবেশন হয়েছে। প্রথমটি বাজেট অধিবেশন, দ্বিতীয়টি শীতলাকীন। ১৭ নভেম্বর শীতকালীন অধিবেশনের শেষ দিন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবি করে দেন। ফলে পরের অধিবেশন ডাকতে পরিষদীয় দফতরের তরফে আর রাজ্যপালের অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু সংসদীয় রীতি অনুযায়ী বাজেট অধিবেশন শুরু হতে পারে কেন্দ্রের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের অনুমোদন নিয়ে। এবং বাজেট অধিবেশন শুরু হয় রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপালের ভাষণ দিয়েই।
সূত্রের খবর, সাধারণত বছরের শীতকালীন অধিবেশন শেষ হলেই পরিষদীয় দফতর অধিবেশন শেষের ফাইল রাজভবনে পাঠিয়ে দেয়। তাতে দ্রুতই স্বাক্ষর করে দেন রাজ্যপাল। কিন্তু বর্তমানে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সম্পর্কে জটিলতা যথেষ্ট। তাই গত বছর ১৭ নভেম্বর অধিবেশন শেষ হয়ে গেলেও, এত দিন সেই ফাইল রাজভবনে পাঠানো হয়নি। পরিষদীয় দফতর থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি সেই ফাইল রাজভবনে পাঠানো হলে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সেই ফাইলে স্বাক্ষর করে অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণা করে দিয়েছেন রাজ্যপাল। তবে এ ক্ষেত্রে এই স্বাক্ষর করার বিষয়টি রাজ্যপাল টুইট করে জানানোয় তাঁর কৌশলী পদক্ষেপই দেখছেন রাজ্য রাজনীতির কারবারিরা।
কারণ, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে প্রায়শই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার অসহযোগিতার অভিযোগ তোলে। সম্প্রতি আবার বিধানসভা থেকে রাজভবনে যাওয়া একাধিক বিল তিনি আটকে রেখেছেন বলেও অভিযোগ করেছে রাজ্য। বিধানসভার সমাপ্তি বিলে স্বাক্ষর করে এক দিকে যেমন তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা রাজ্য সরকারের অভিযোগের জবাব দিয়েছেন, তেমনই বাজেট অধিবেশনে তাঁকে এড়িয়ে রাজ্য সরকার কোনও উদ্যোগ নিলে, সেই বিষয়েও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করার পথও প্রশস্ত করে রেখেছেন রাজ্যপাল।