রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের— ফাইল চিত্র।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে ফের টুইটারে সুর চড়ালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রবিবার দুপুরে তিনটি টুইটে তাঁর অভিযোগ, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি রিপোর্ট চাইলেও তা দেওয়া হচ্ছে না। রাজ্য সরকার এ ক্ষেত্রে তথ্য লুকিয়ে সাংবিধানিক দায়িত্ব এড়াচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের কোনও বাসিন্দা তথ্যের অধিকার আইনে কিছু জানতে চাইলে পুলিশ গিয়ে ভয় দেখায় বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন। রাজ্যপাল তাঁর টুইটে ট্যাগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি টুইটার হ্যান্ডলকেও। দ্রুত জবাব এসেছে তৃণমূলের তরফে। দলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, রাজ্যপাল এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ করছেন।
আজ ধনখড়ের টুইট-মন্তব্য, ‘‘রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা, শিল্প সম্মেলনে দুর্নীতি, রেশন ব্যবস্থা, আমপানের ত্রাণ বিলিতে অনিয়ম-সহ বিভিন্ন বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট চাওয়া রাজ্যপালের অধিকার ও কর্তব্য। কিন্তু সেই তথ্য পাওয়া যায় না। শাসকদলের অবস্থান হল, রাজ্যপাল রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট। আমার প্রশ্ন, এটা কি আইনের শাসন বা গণতন্ত্র?’’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের এমন কার্যকলাপের কারণও জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। লিখেছেন, ‘‘তথ্য দেওয়া হচ্ছে না কেন? এত লুকনোর কী আছে? সরকার তার ব্যাখ্যা দিক। যাঁরা তথ্য দিচ্ছে না, স্বচ্ছতা ও দায়িত্বের স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের চিহ্নিত করুন। এই অস্পষ্টতা দুর্নীতির জন্ম দেবে। বাক্সের ভিতর কঙ্কালের সংখ্যা আরও বাড়বে।’’ রাজ্যপালের মতে, রাজ্য সরকারের এই তথ্য এড়ানোর প্রবণতাই বলে দিচ্ছে মমতার জমানায় পশ্চিমবঙ্গে তথ্যের অধিকার আইনের কী করুণ পরিণতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: নয়া মানচিত্র এ বার ভারত, রাষ্ট্রপুঞ্জ, গুগলকে পাঠাবে নেপাল
রাজ্য সরকারের এই ‘তথ্য-অসহযোগিতা’র মোকাবিলায় তিনি কী করেছেন?
রাজ্যপাল টুইটারে লিখেছেন, ‘‘মুখ্য তথ্য কমিশনারকে ডেকে আগেই সতর্ক করেছি। তথ্য চেয়ে আবেদন করলেই এ রাজ্যে বাড়িতে পুলিশ যায়। ভয় দেখানো হয়। তাই এত কম আবেদন জমা হয়। দুর্নীতি রোধে তথ্য প্রকাশ সবচেয়ে জরুরি।’’
আরও পড়ুন: নজরে প্যাংগং, লাদাখে আজ ফের কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠক
শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আজ রাজ্যপাল ধনখড়ের মন্তব্য সম্পর্কে বলেন, ‘‘উনি প্রবীণ রাজনীতিক। কিন্তু সংবিধান সম্পর্কে জ্ঞান নেই। তাই নিজের এক্তিয়ার জানেন না। বিজেপি কর্মীদের মতো কথা বলছেন।’’