রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। — ফাইল ছবি।
রাজধানী দিল্লিতে রয়েছেন অথচ সরকারি থাকার জায়গা বঙ্গভবনে থাকছেন না রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল কেন রাজ্য সরকারের থাকার জায়গায় না থেকে অন্যত্র থাকবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এ বার দিল্লি থেকে তারই জবাব দিয়ে ভিডিয়োবার্তা দিলেন রাজ্যপাল। জানালেন, বঙ্গভবনের খারাপ অবস্থার কারণেই এ যাত্রায় তাঁর সেখানে রাত্রিবাস করা হল না। তবে রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী এ বিষয়ে উদ্যোগী হবেন বলে জানিয়েছেন। সেই উদ্যোগের প্রশংসা শোনা গিয়েছে সিভি আনন্দ বোসের গলায়। যদিও বিঁধেছেন রাজ্যের তরফে বঙ্গভবনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আমলাদের।
বাংলার রাজ্যপাল দিল্লিতে গেলে সাধারণত ওঠেন বঙ্গভবনে। রাজ্য সরকারি এই অতিথি নিবাসে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের থাকাটাই দস্তুর। কিন্তু এ বার দিল্লি গিয়ে বঙ্গভবনে ওঠেননি রাজ্যপাল। কারণ, রাজ্যপালের মতে, বঙ্গভবন তাঁর বাসযোগ্য নয়। তা নিয়ে রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়কেও প্রশ্ন করা হয়েছিল। মন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি এ বিষয়ে দ্রুতই যথাযথ পদক্ষেপ করবেন। তার পর এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেন রাজ্যপালও। দিল্লি থেকে দেওয়া এক ভিডিয়োবার্তায় সিভি আনন্দ বোস বলেন, ‘‘আমি এ বার বঙ্গভবনে থাকিনি তার কারণ বোঝাটা খুবই সহজ। জায়গাটির ভাল করে রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন, ময়লা পরিষ্কার করা দরকার। বঙ্গভবনের সৌন্দর্যায়নের নামে অর্থের অপচয় বন্ধ হোক। মন্ত্রী এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন বলেছেন, সেটা জেনে আমি খুশি হয়েছি। তবে, নিচুতলার আধিকারিকদের নিজেদের দায়িত্ব পালন করা উচিত। এ জন্য পূর্তমন্ত্রীকে বিরক্ত করা কাজের কথা নয়। কয়েক জন আধিকারিকের হেলেদুলে চলার মানসিকতা দূর করতে হবে। তাঁদের জন্যই মন্ত্রীকে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।’’
নিচুতলার আমলাদের বিঁধলেও রাজ্যপাল পূর্তমন্ত্রীর ইতিবাচক এবং সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। বুধবার রাতে দিল্লি গিয়েছেন রাজ্যপাল বোস। রাজভবন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। দু’জনের মধ্যে বেশ কিছু ক্ষণ কথা হয়। পরে সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন বোস। সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে একটি ভিডিয়ো বার্তায় বাংলার মানুষের উদ্দেশে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘বাংলার মানুষকে ন্যায় পাইয়ে দিতে যা যা করার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার তা করছে।’’