(বাঁ দিকে) অমিত শাহ। (ডান দিকে) সিভি আনন্দ বোস। —ফাইল চিত্র।
আরজি-কর কাণ্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করলেন বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবনের একটি সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বেশ কিছু বিষয় জানিয়েছেন রাজ্যপাল। আরজি করের ঘটনার গুরুত্ব থেকে রাজ্যে চলা নাগরিক সমাজের আন্দোলন, সব কিছুই শাহের কানে তুলেছেন রাজ্যপাল।
বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লি যান রাজ্যপাল বোস। এর আগে গত ২০ অগস্ট তিনি দিল্লিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সে বারও আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা এবং তা নিয়ে রাজ্য জুড়ে চলা আন্দোলন পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁদের অবহিত করেছিলেন। তা ছাড়া, তখন দিল্লি থেকে ‘কন্ট্রোল রুম’ চালু করেছিলেন বোস। সেখান থেকে তাঁর প্রথম ফোন ছিল মৃতার মাকে। বেশ খানিক ক্ষণ কথা হয় তাঁদের। রাষ্ট্রপতি এবং উপ-রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার ১০ দিনের মাথায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন বাংলার রাজ্যপাল। জানা গিয়েছে, আরজি কর নিয়ে রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা তিনি শাহকে জানিয়েছেন
বস্তুত, বৃহস্পতিবার আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে রাজ্যপালকে একটি চিঠি দিতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ-সহ পদ্ম শিবিরের বেশ কয়েক জন নেতা। তাঁদের সঙ্গে রাজভবনে সাক্ষাতের পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লি রওনা হন বোস। ইতিমধ্যে চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনায় শাহকে চিঠি লিখেছেন সুকান্ত। বুধবার তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সভার মঞ্চ থেকে করা মমতার মন্তব্যের পর তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘‘মমতা এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত।’’
আরজি করের ঘটনার ২১ দিন অতিবাহিত। গোটা রাজ্যে এই নিয়ে বিক্ষোভ–প্রতিবাদ এখনও চলছে। অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে রাজপথে মিছিল নামছে। চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের তদন্ত করছে সিবিআই। কিন্তু তদন্তভার নেওয়ার পর দু’সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পরেও নতুন কোনও গ্রেফতার হয়নি। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূলও। ওই প্রেক্ষাপটে রাজ্যপাল–স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ নিয়ে চর্চা চলছে রাজ্য রাজনীতিতে।