(বাঁ দিকে) রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এবং তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
সন্দেশখালির ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনকে আগেই পদক্ষেপ করতে বলেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এ বার তাঁর ‘শান্তিকক্ষে’ শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে জমা পড়া অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশকে দ্রুত পদক্ষেপ করতে বললেন তিনি। শাহজাহানকে গ্রেফতার করার নির্দেশও দিলেন রাজ্যপাল বোস।
শান্তিকক্ষে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ জমা পড়েছে তার প্রেক্ষিতে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, কিছু রাজনৈতিক নেতা এবং পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে শাহজাহানকে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ-ও অভিযোগ যে, শাহজাহান সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ পালিয়ে গিয়েছেন। জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগসাজেশের সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছে ওই অভিযোগে। এর পরেই পুলিশকে রাজ্যপালের নির্দেশ, যত দ্রুত সম্ভব শাহজাহানকে খুঁজে বার করে তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে। যদি তাঁকে খুঁজে না-ই পাওয়া যায়, তা হলে যা যা পদক্ষেপ করা প্রয়োজন তা করতে হবে।
শুক্রবার রেশন বণ্টন দুর্নীতির মামলায় তদন্তের সূত্রে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে নেতার অনুগামীদের হাতে আক্রান্ত হন ইডির গোয়েন্দারা। হামলায় মাথা ফাটে এক আধিকারিকের। আহত হন মোট তিন আধিকারিক। জনতার চাপে পিছু হটতে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির আধিকারিকদের। সন্দেশখালির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি মন্তব্য করেন, “রাজ্যপাল কেন ঘোষণা করছেন না রাজ্যে সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে?” এর পরেই কড়া বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তিনি মনে করিয়ে দেন, ‘‘গণতন্ত্রে সভ্য সরকারের কর্তব্য বর্বরতা এবং অশান্তি বন্ধ করা। সরকার তার প্রাথমিক কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হলে, অবশ্যই পদক্ষেপ করবে ভারতের সংবিধান।’’ রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, মুখ্যসচিব বিপি গোপালিক এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে রাজভবনে তলব করেন রাজ্যপাল। তাঁদের কাছ থেকে ঘটনার রিপোর্ট চান তিনি। যদিও রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের তিন শীর্ষ কর্তা দেখা করতে যাননি বলে রাজভবন সূত্রে খবর।