CV Ananda Bose

জানুয়ারিতেই সর্বত্র স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ, আশ্বাস

গত সপ্তাহে রাজ্যপাল ছ’জন উপাচার্যের নামে সায় দিয়েছিলেন। আজ রাজ্যপালের তরফে কেন্দ্রের অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরমনি জানিয়েছেন, দু’-এক দিনের মধ্যে আরও পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নাম চূড়ান্ত হয়ে যাবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:৫৪
Share:

সিভি আনন্দ বোস। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ হয়ে যাবে, আজ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সি ভি আনন্দ বোসের তরফে সুপ্রিম কোর্টে এই আশ্বাস দেওয়া হল।

Advertisement

গত সপ্তাহে রাজ্যপাল ছ’জন উপাচার্যের নামে সায় দিয়েছিলেন। আজ রাজ্যপালের তরফে কেন্দ্রের অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরমনি জানিয়েছেন, দু’-এক দিনের মধ্যে আরও পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নাম চূড়ান্ত হয়ে যাবে। তিন সপ্তাহ সময় পেলে ৩৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলিতেই স্থায়ী উপাচার্যের নাম ঠিক হয়ে যাবে। বিচারপতি সূর্য কান্তের বেঞ্চ জানিয়েছে, ৮ জানুয়ারি এই মামলার ফের শুনানি হবে।

উচ্চ শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, আজ, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটির তালিকায় দক্ষিণ দিনাজপুর, কন্যাশ্রী, মহাত্মা গান্ধী, মুর্শিদাবাদ এবং হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের প্রার্থীদের রাজভবনে ডেকে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও রাজ্যপালের বিবাদের জেরে সুপ্রিম কোর্ট প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের নেতৃত্বে কমিটি তৈরি করে দিয়েছিল। শীর্ষ আদলতের নির্দেশ ছিল, কমিটি প্রাথমিক বাছাই তালিকা মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠাবে। মুখ্যমন্ত্রী নিজের পছন্দের ক্রম অনুযায়ী নামের তালিকা রাজ্যপালকে পাঠাবেন।

রাজ্য সরকারের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি কোর্টে বলেন, “আচার্যকে এর আগে দু’সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মাত্র ছ’জন উপাচার্যের নামে তিনি সায় দিয়েছেন। কেন এত দেরি হচ্ছে? সময় বেঁধে দেওয়া দরকার।” অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আর তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হোক। সিঙ্ঘভি প্রশ্ন তোলেন, এত সময় কেন প্রয়োজন? সুপ্রিম কোর্টের কমিটি নাম ঠিক করে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তার মধ্যে বাছাই করে নাম পাঠাচ্ছেন। রাজ্যপালকে শুধু চূড়ান্ত সায় দিতে হবে।

বিচারপতি সূর্য কান্ত পর্যবেক্ষণে বলেছেন, “সকলের কাজের ধরন এক রকমের নয়। অন্তত ১১ জন উপাচার্যের নাম ঠিক হয়েছে, এটাই ভাল।” এক জন আইনজীবী এই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুললেও তা শুনতে নারাজ বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, স্বয়ং ভগবান এই কাজ করলেও আপত্তি উঠত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement