নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
শাসক ও বিরোধী দলের সমন্বয়ই গণতন্ত্রের শক্তি। সেই সমন্বয়ের কাজটাই বিধানসভার স্পিকারকে করতে হয়। প্রথম বার রাজ্য বিধানসভায় এসে শুক্রবার সমন্বয়ের বার্তা দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
তিনি বলেন, ‘‘শাসক ও বিরোধী দলের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার কাজ স্পিকারকে করতে হয়। গণতন্ত্রের শক্তিই হল শাসক-বিরোধী সমন্বয়।’’ এর পাশাপাশি তাঁর কথায় উঠে এসেছে, বিধানসভায় শাসক-বিরোধী উভয় পক্ষের ভিন্ন মতের মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা। তিনি আরও বলেন, ‘‘বিধানসভায় বৈচিত্র থাকবে। বিভিন্ন মত থাকবে। স্পিকারের কাজ বিধানসভায় এই বৈপরীত্য ও ভিন্ন মতকে সুষ্ঠু ভাবে বিকশিত হতে দেওয়া।’’ বিধানসভার স্পিকার এবং রাজ্যপালকে একসঙ্গেই চলতে হবে বলেও মনে করিয়ে দিলেন তিনি।
রাজ্যপাল হিসাবে বিধানসভা ভবনে এসে খুশি সিভি আনন্দ বোস। সস্ত্রীক রাজ্যপাল শুক্রবার আসেন বিধানসভা ভবনে। বিধানসভায় পুষ্প প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল। সেখানেই প্রারম্ভিক ভাষণে সমন্বয়ের বার্তা দিলেন তিনি। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বিধানসভা ভবন, বিধানসভার নতুন ভবন ঘুরিয়ে দেখান।
রাজ্যপাল তার ভাষণে বলেন, ‘‘এখানে সবচেয়ে সুন্দর ফুল হল উপস্থিত প্রবীণ নাগরিকেরা। বিখ্যাত এই পুষ্প প্রদর্শনীতে আসতে পেরে আমার ভাল লাগছে।’’ তাঁর বক্তৃতায় ভগবান কৃষ্ণের মতো ভারসাম্য বজায়ের কথা বলেছেন তিনি। সত্যভামা আর রুক্মিণীর কথা উঠে আসে তাঁর ভাষণে।