Sandeshkhali Incident

সোমে সন্দেশখালি যাবেন রাজ্যপাল, শুভেন্দুর চাপেই কি কেরল সফর কাটছাঁট করে রাজ্যে ফিরছেন বোস?

রাজভবন সূত্রে খবর, সন্দেশখালিতে ঘটে যাওয়া অশান্তির ঘটনায় রাজ্য সরকারের থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন আনন্দ বোস। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গেও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:২৬
Share:

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।

সোমবার সন্দেশখালি যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রবিবার এমনটাই জানানো হয়েছে রাজভবনের তরফে। রাজভবন সূত্রে খবর, সন্দেশখালির ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের থেকে রিপোর্টও তলব করা হয়েছে। শনিবার রাজ্যপাল বোসকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ করার সময়সীমা ‘বেঁধে’ দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঘোষণা করেছিলেন, সন্দেশখালির ঘটনায় রাজ্যপাল দ্রুত পদক্ষেপ না করলে বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে সন্দেশখালি যাবেন তিনি। ঘটনাচক্রে, এর পরেই রাজভবনের এই তৎপরতা নজরে এল। শুভেন্দুর ঘোষণার পর শনিবার রাতে কড়া বিবৃতিও দিয়েছিলেন বোস।

Advertisement

রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যপাল এখন কেরলে রয়েছেন। সেখানে বাঙালিদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। সন্দেশখালির পরিস্থিতি যে দিকে গড়িয়েছে, তাতে তিনি কেরল সফর কাটছাঁট করে রাজ্যে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সূত্রের খবর, সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামার কথা তাঁর। তার পর সেখান থেকে সোজা সন্দেশখালির উদ্দেশে রাজ্যপাল রওনা দেবেন বলে জানিয়েছে রাজভবনের সূত্র। শুধু তা-ই নয়, সম্প্রতি যে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে সন্দেশখালিতে, সে ব্যাপারে রাজ্য সরকারের থেকে সবিস্তার রিপোর্টও তলব করেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গেও। সন্দেশখালির ঘটনাবলী নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের মুখ্য ভিজিল্যান্স কমিশনারেরও আলোচনা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে রাজভবনের তরফে।

সন্দেশখালির ঘটনায় রাজ্যপাল ও রাজ্য প্রশাসনের উপর চাপ বৃদ্ধি করতে শনিবার দুপুরে বিধানসভা থেকে রাজভবন পর্যন্ত মিছিল করেছিলেন শুভেন্দু। সেখানে ধর্নায় বসে রাজ্যপালকে ‘সময়সীমা’ বেঁধে দেন তিনি। বাম আমলের নন্দীগ্রামের সঙ্গে এখনকার সন্দেশখালির তুলনা টেনে শুভেন্দু অভিযোগ করেছিলেন, এলাকা দখলের জন্য পুলিশ ও তৃণমূলের বাহিনী হাত মিলিয়েছে। নন্দীগ্রামে সিপিএম যা করেছিল। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘আমরা রাজ্যপালকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সন্দেশখালি যেতে অনুরোধ করছি। রাজ্যপাল যদি পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারেন, তা হলে ১৪৪ ধারা থাকলেও সোমবার বিধায়কদের নিয়ে আমরা যাব।”

Advertisement

ঘটনাচক্রে, শুভেন্দুর ওই হুঁশিয়ারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাতে বিবৃতি দিয়ে রাজ্যপাল বলেছেন, সন্দেশখালিতে ‘গুন্ডারাজ’ চলছে। সরকারের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বোসের কথায়, “খুব খারাপ ঘটনা ঘটছে সন্দেশখালিতে। নারীদের হেনস্থা করা হয়েছে, মারধর করা হয়েছে। গুন্ডারাজ চলছে ওখানে। যখন গুন্ডারা আইন হাতে তুলে নেয়, সেটা নাগরিক সমাজের পক্ষে বিপদসঙ্কেত। এটা দ্রুত বন্ধ করার দায়িত্ব সরকারের। সরকারের উচিত শক্ত হাতে, সদর্থক ভাবে পদক্ষেপ করা। আসুন, সবাই মিলে এটার বিরুদ্ধে লড়াই করি।” তাঁর সংযোজন, “সরকারের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওখানে ইডি আধিকারিকদের বাধা দেওয়া হয়েছে। বাংলা শান্তির জায়গা। আমাদের সবাইকে এক হয়ে বাংলার কিছু জায়গায় চলা এই অর্থহীন খেলাটাকে শেষ করতে হবে।”

শুভেন্দুদের হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছিলেন, “তাঁর (শুভেন্দু) সঙ্গে রাজ্যপালের মধুর না অম্ল-মধুর সম্পর্ক, জানি না। রাজ্যপাল বিরোধী দলনেতার নির্দেশ মানবেন কি না, তিনি বুঝবেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement