ফাইল চিত্র।
পাঁচ বছরের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও রাজ্য অর্থ কমিশনের কাজ চালিয়ে যাওয়া নিয়ে সরব হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর দাবি, সংবিধানের ধারা অগ্রাহ্য করে চতুর্থ অর্থ কমিশন এখনও রেখে দেওয়া হয়েছে কিন্তু ২০১৪ সালের পর থেকে রাজ্যপালের কাছে কমিশনের কোনও সুপারিশ পাঠানো হয়নি। জনগণের টাকায় এমন ‘অসাংবিধানিক কার্যকলাপ’ চালানো যায় না বলে অভিযোগ করে কমিশনের সদস্যদের কাছ থেকে বেতন ও অন্যান্য খরচের টাকা ফেরত নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল। চতুর্থ অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান অভিরূপ সরকার অবশ্য সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর থেকে তাঁরা আর কোনও পারিশ্রমিক পাননি। রাজ্যপালের মতে, কমিশনের সুপারিশ রাজ্যপালের কাছে পাঠানো এবং বিধানসভায় পেশ করা সাংবিধানিক নিয়ম। অর্থ কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ না করা নিয়ে অতীতে সরব হয়েছিল বিরোধী বামেরাও। তবে কেন রিপোর্ট বিধানসভায় পেশ হয়নি বা সুপারিশ রাজভবনে পাঠানো হয়নি, সে বিযয়ে মুখ খুলতে চাননি রাজ্যের অর্থ দফতরের আধিকারিকেরা।