—ফাইল চিত্র।
অশান্তি-ভাঙচুর না করে কাটমানি (বখরা) রুখতে আইনের পথে হাঁটলে সরকার বিরোধীদের সহযোগিতা করবে বলে বিধানসভায় আশ্বাস দিলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তবে চ্যালেঞ্জের সুরেই তাঁর প্রস্তাব, কাটমানির অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে দোষীর ৬ বছরের জেল এবং প্রমাণ করতে না পারলে ভুয়ো অভিযোগকারীর তিন বছরের জেল— এই মর্মে তাঁরা বিল আনতে রাজি।
বিধানসভায় সোমবার পঞ্চায়েত বাজেট নিয়ে আলোচনায় পঞ্চায়েত স্তরে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন সিপিএম বিধায়ক সুজিত চক্রবর্তী। জবাবি ভাষণে মন্ত্রী সুব্রতবাবু পাল্টা অভিযোগ করেন, কাটমানির বিষয় তুলে রাজনীতি করার চেষ্টা হচ্ছে। বিজেপি এতে মদত দিচ্ছে। আর তাদের পিছনে থাকছে সিপিএম। এতে হইচই হলেও কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। বাস্তবে কাটমানির মতো দুর্নীতি ঠেকাতে চাইলে বিরোধীদের আইনের রাস্তায় যাওয়া উচিত। পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় তার সুযোগও আছে।
সুব্রতবাবু এ দিন জানান, কোনও জায়গায় ত্রুটি থাকলে পঞ্চায়েতে তা দূর করার ব্যবস্থাও আছে। অভিযোগের সুরাহা করার বন্দোবস্ত আছে। দুর্নীতির অভিযোগ বিধায়কদের মাধ্যমে জানানো যায়। জেলা পরিষদের মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ১৮০০২০০৮৬৪— এই টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করেও কেউ অভিযোগ জানাতে পারেন। পঞ্চায়েতে অভ্যন্তরীণ অডিটও হয়। এই প্রেক্ষিতেই সুব্রতবাবু বলেন, ‘‘এতগুলো জায়গায় অভিযোগ জানানোর সুযোগ থাকলেও মানুষ তা জানায়নি কেন? এখন বিজেপি ধোঁয়া দিচ্ছে। এ সবের পিছনে আছে সিপিএম। তারাই ভাঙছে, মারছে। বাইরে বিজেপি বিরোধিতা করলেও ভিতরে সিপিএম বিজেপির সব চেয়ে বড় বন্ধু!’’
এর পরেই বিরোধীদের উদ্দেশে পঞ্চায়েত মন্ত্রী বলেন, ‘‘খোদ মুখ্যমন্ত্রী কাটমানির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। আর কোনও মুখ্যমন্ত্রী কি এমন বলতে পেরেছেন? আমরা কেউ এ সব চাই না। আপনারা নিয়ম মেনে অভিযোগ করুন। দুর্নীতি বন্ধ করতে চাইলে আইনের পথে আসুন। আমরা সহযোগিতা করব।’’