ছবি: পিটিআই।
চালু প্রকল্পে হাত না-দিয়ে বেতন কমিশনের সুপারিশ নিয়ে সাধ্যমতো করার আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন। তবে কমিশনের সুপারিশ মানতে গিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য চালু উন্নয়ন প্রকল্পে যে আঘাত করা হবে না, এ দিন সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা। এই অবস্থায় বেতন কমিশন নিয়ে সরকারি তৎপরতার ইঙ্গিত পেলেও আশার আলো দেখছেন না সরকারি কর্মীরা।
বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতির মধ্যে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কথা জানিয়ে বেতন কমিশন সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘নির্বাচনের আগে অনেক বেশি রাজনীতি হয়েছে। বেতন কমিশন নিয়ে অনেক চিৎকার হয়েছে। কমিশন তো ছ’মাস সময় চেয়েছে। তারা রিপোর্ট দিক। এ নিয়ে কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলব। কতটা কুলোয় দেখে সাধ্য অনুযায়ী করব।’’
সরকারি হিসেবে ২০১১-১২ অর্থবর্ষের থেকে ২০১৮-১৯ আর্থিক বছর পর্যন্ত সুদে-আসলে ঋণ শোধ করতে হয়েছে দু’লক্ষ ৭৪ হাজার ৩১৬ কোটি টাকা। চলতি অর্থবর্ষে তা ৫৬ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। গত আর্থিক বছরে প্রায় ৬৫,৩৪১ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। পণ্য পরিষেবা কর বাবদ আয় ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষের তুলনায় ২৩% বেড়ে ২৮,৯০৭ কোটি হয়েছে ২০১৮-’১৯ আর্থিক বছরে। এরই মধ্যে ছ’গুণ বাড়িয়ে ২০১৮-’১৯ আর্থিক বছরে পরিকল্পনা খাতে ৭১,১১৩ কোটি টাকা ব্যয় করেছে রাজ্য। আগের আর্থিক বছরের তুলনায় ২৫% বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮-’১৯ অর্থবর্ষে মূলধনী খাতে খরচ হয়েছে ২৩,৭৮৭ কোটি টাকা। সামাজিক ক্ষেত্রে খরচ চার গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮-’১৯ আর্থিক বছরে হয়েছে ৩১,০৬০ কোটি টাকা। একই সময়সীমায় ন’গুণ বেড়ে কৃষি এবং সহযোগী ক্ষেত্রে খরচ হয়েছে ২৮,৩০২ কোটি টাকা। পরিকাঠামো ক্ষেত্রে গত আট বছরে খরচ পাঁচ গুণ বেড়ে ২০১৮-’১৯ আর্থিক বছরে দাঁড়িয়েছে ৯,৫৫৩ কোটি টাকা।
এই ব্যাখ্যা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, অর্থসঙ্কটের মধ্যেও নিখরচায় উন্নয়ন প্রকল্প চলছে। তাঁর কথায়, ‘‘গরিবকে নিশ্চয়ই ভাতে মারব না! ভোট দেয়নি বলে এটা করতে পারি না। অনেকে ভুল বুঝেছেন। কিন্তু কোনও প্রকল্প বন্ধ করতে পারব না। মানুষ যাতে সব পায়, তা প্রশাসনকে দেখতে হবে।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।