UPSC

UPSC: ইউপিএসসি-তে বাংলার সাফল্য চেয়ে মেধা সন্ধান

ইউপিএসসি (সিভিল সার্ভিস) পরীক্ষায় বঙ্গসন্তানদের বৃহত্তর সাফল্য চায় রাজ্য সরকার।

Advertisement

রাজীব চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২১ ০৬:২৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

দক্ষতা ও যোগ্যতা নিয়ে তাঁরা আছেন বাংলার কোণে কোণে। শুধু খুঁজে বার করার অপেক্ষা। সেই সব সম্ভাব্য আমলার হদিস পেতে ‘মেধা অন্বেষণে’ নেমেছে রাজ্য সরকারি প্রতিষ্ঠান ‘সত্যেন্দ্রনাথ টেগোর সিভিল সার্ভিস স্টাডি সেন্টার’। কারণ, ইউপিএসসি (সিভিল সার্ভিস) পরীক্ষায় বঙ্গসন্তানদের বৃহত্তর সাফল্য চায় রাজ্য সরকার। সেই লক্ষ্যে ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ডিজি সুরজিৎ করপুরকায়স্থ সম্প্রতি সব জেলাশাসককে চিঠি লিখেছেন। ওই পরীক্ষায় সফল হওয়ার দক্ষতা ও যোগ্যতাসম্পন্ন ছাত্রছাত্রীদের খুঁজে বার করতে অনুরোধ করেছেন তিনি। সেই কাজ ইতিমধ্যে শুরুও হয়ে গিয়েছে।

প্রতিষ্ঠানের এক কর্তা বলেন, ‘‘উপযুক্ত সুযোগ-সুবিধার অভাবে মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকে সফল পরীক্ষার্থীদের বড় অংশ শিক্ষার জগৎ থেকে হারিয়ে যান। সেই জন্য মেধা অন্বেষণে ব্যক্তিগত ভাবে উদ্যোগী হতে বলা হয়েছে জেলাশাসকদের।’’

Advertisement

সুরজিৎবাবু জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের কৃতী পড়ুয়াদের সংবর্ধনা দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের ইউপিএসসি (সিভিল সার্ভিস) পরীক্ষায় বসার জন্য উৎসাহিত করেন। সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে মুখ্যমন্ত্রীরই উদ্যোগে এই প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে। মেধাবী তরুণ-তরুণীদের ওই পরীক্ষায় বসার উপযুক্ত করে তুলতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সব জেলাশাসককে চিঠি লিখে মেধা খুঁজতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘সাম্প্রতিক অতীতে মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে ভাল ফল করেছেন, এমন ছাত্রছাত্রীদের চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। জেলাশাসকদের এটা সুস্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে যে, তফসিলি জাতি ও জনজাতি সম্প্রদায়ের মেধাবীদের খুঁজে বার করর বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।’’

জেলাশাসকদের কাছে চিঠিতে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান লিখেছেন, ‘অতীতের তুলনায় সর্বভারতীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে বাংলার প্রতিনিধিত্ব উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে গিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে মেধাবী পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে তাঁদের উপযুক্ত করে তুলতে চায় ওই প্রতিষ্ঠান। মুখ্যমন্ত্রী সর্বদাই মেধাসম্পন্ন ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। এই প্রতিষ্ঠানও সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা সম্পর্কে যোগ্য পড়ুয়াদের সচেতন করতে চায়।’

Advertisement

সুরজিৎবাবুর বক্তব্য, লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে আগে মেধাসম্পদ বা যোগ্য পড়ুয়া চিহ্নিত করতে হবে। তার পরে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ইউপিএসসি পরীক্ষায় সফল করে তুলতে হবে তাঁদের। তিনি বলেন, ‘‘আগে প্রয়োজন, সেই সব মেধাকে চিহ্নিত করা। আমরা সেই কাজেই হাত দিয়েছি।’’

ওই কাজ শেষ হয়ে গেলে ২০২২-র ইউপিএসসি (সিভিল সার্ভিস, প্রিলিমিনারি) পরীক্ষায় বসতে চান, এমন তরুণ-তরুণীদের ‘স্ক্রিনিং টেস্ট’ বা বাছাই পরীক্ষা নেওয়া হবে। তার পরে শুরু হবে উপযুক্ত প্রার্থীদের প্রশিক্ষণ পর্ব।

যাঁরা বাছাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবেন না, তাঁরা পরের বছরের ইউপিএসসি (সিভিল সার্ভিস) পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি চালাবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement