—প্রতীকী ছবি।
যে কোনও স্তরে সরকারি কর্মী এবং আধিকারিকেরা ছুটি নিতে চাইলে এ বার থেকে আবেদন করতে হবে অনলাইনে। সম্প্রতি অর্থ দফতর থেকে এই সংক্রান্ত বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী অর্থবর্ষের প্রথম দিন থেকেই সরকারি ছুটির জন্য আবেদন জানাতে হবে একটি নির্দিষ্ট পোর্টালে। এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর প্রশাসনিক মহলে খবর, ১ এপ্রিল থেকে কর্মীদের পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে ছুটির আবেদন করতে বলা হয়েছে। কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বিজ্ঞপ্তিতে সে কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তির বয়ান অনুযায়ী, ক্যাজুয়াল লিভ (সিএল) বা কমপেনসেটরি লিভ (সিসিএল) সব ক্ষেত্রেই পোর্টাল মারফত ছুটির আবেদন করতে হবে।
রাজ্য সরকারের এইচআরএমএস পোর্টালে এই আবেদন করতে বলা হয়েছে। পোর্টাল চালু হওয়ার পর রাজ্য সরকারের সব দফতরে সরকারি কর্মীদের ওই পোর্টালের মাধ্যমে ছুটির আবেদন জমা পড়া শুরু হয়। কিন্তু বেশ কিছু ক্ষেত্রে অফলাইনে ছুটির আবেদন জমা পড়ছে বলে জেনেছে অর্থ দফতর। এ ভাবে অফলাইনে ছুটির আবেদন জমা পড়ার ক্ষেত্রে ছুটির হিসাবে তথ্য বিভ্রাট হচ্ছে বলেই অর্থ দফতর সূত্রে খবর। এক জন সরকারি কর্মী অবসর নেওয়ার সময় সর্বোচ্চ ৩০০ দিনের ছুটির বেতন পেতে পারেন। তার জন্য ওই সংখ্যক ছুটি জমা থাকে। কিন্তু এ রকম ঘটনাও ঘটছে, যেখানে ছুটির হিসেব ঠিকমতো না থাকার সুযোগ নিয়ে অবসরের সময় এই খাতে বেশি টাকা পেয়ে যাচ্ছেন কোনও কোনও সরকারি কর্মচারী। তাই এই ধরনের ঘটনা রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে অর্থ দফতর। অর্থ দফতর নিজের কর্মীদের ক্ষেত্রে অফলাইনে ছুটির আবেদন করা একেবারে বন্ধ করল। গত ১৫ মার্চ থেকে অর্থ দফতরের সর্বস্তরের আধিকারিক ও কর্মীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পোর্টাল মারফত ছুটি নেওয়া বাধ্যতামূলক। যদি কোনও ক্ষেত্রে এর অন্যথায হয়, তবে দফতর সংশ্লিষ্ট আধিকারিক বা কর্মীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। সরকারি কর্মচারীরা পোর্টালে আবেদন করার পর ছুটি কী ভাবে অনুমোদন করা হবে, তা-ও বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।