মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।
রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অধীনে থাকা পুরসভা, পুর নিগম-সহ সব সরকারি উন্নয়ন সংস্থায় ক্যাজুয়াল কর্মী নিয়োগ করতে হলে সরকারের অনুমোদন নিতে হবে। সরকারি অনুমোদন না-থাকলে এখন থেকে কোনও উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা কেটে ওই সব কর্মীর বেতন বা ভাতা দেওয়া যাবে না। কোনও স্বশাসিত সংস্থা নিয়ম না-মেনে নিয়োগ করলে তাদের সরকারি ‘গ্র্যান্ট’ বা বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়া হবে। সোমবার পূর্ব বর্ধমানে প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে কঠোর মনোভাবের কথা জানিয়ে দেন।
সরকারি অনুমোদন না-নিয়ে পুরসভা বা উন্নয়ন সংস্থায় লোক নিয়োগ বন্ধ করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি এই মর্মে সরকারি নির্দেশ জারি করেছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। সরকারি অনুমোদন না-নিয়ে নিয়োগ করলে সেই কর্মী অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। সংশ্লিষ্ট কর্মী আদালতে গেলে সরকারকে যে অসুবিধায় পড়তে হবে, সেটাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সচিব।
পুর ও নগরোন্নয়ন সচিব রাজ্যের সব পুরসভা, পুর নিগম এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থাগুলিকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, লোক নিতে হলে মিউনিসিপাল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে মঞ্জুর করা শূন্য পদে লোক নিয়োগ করতে হবে। এতে স্বশাসিত সংস্থা থেকে কোনও টাকা খরচ করতে হবে না। পুরসভার কর্মীদের সময়ে বেতন এবং পেনশন দেওয়ার জন্য ‘আইওএসএমএস’ নামে একটি অনলাইন সিস্টেম চালু করা হচ্ছে। এতে কর্মীদের সুবিধা হবে। শীঘ্রই এই ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। পুরসভার শূন্য পদে লোক নিয়োগ করতে একটি নতুন ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। দ্রুত নিয়োগ হবে। ভুয়ো কর্মী ঠেকাতে বেশ কিছু দিন আগে প্রতিটি পুরসভাকে কর্মীদের তালিকা এবং বেতন বাবদ কত টাকা খরচ হচ্ছে, তা জানানোর নির্দেশ দেয় অর্থ দফতর। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর থেকে সেই নির্দেশ প্রতিটি পুরসভার কাছে পাঠানো হয়। সেই সূত্রেই অনলাইন পেনশন বেতন ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে।