গৌতম দেব। —ফাইল চিত্র
রাজ্যের যে সমস্ত পুরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে বা হতে চলেছে, একযোগে সে সমস্ত পুরসভার বেশির ভাগে ভোট করাতে চান মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার উত্তরবঙ্গ উৎসবের একটি বৈঠকে অংশ নিয়ে সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পুরসভার ভোট নিয়ে এ কথা জানান পর্যটনমন্ত্রী। সেই মতো শিলিগুড়ি পুরসভাতেও একসঙ্গে ভোট হওয়ার কথা বলেই জানান তিনি। কেন না আলাদা সময়ে বিভিন্ন জায়গায় ভোট হলে নির্বাচনী বিধিনিষেধের জেরে বারবার কাজকর্ম বন্ধ থাকলে সমস্যা হয়।
পাহাড়ের চারটি বাদে রাজ্যের বেশিরভাগ পুরসভায় এ বারে ভোট হওয়ার কথা। তার মধ্যে উত্তরবঙ্গে অন্তত ২০টি পুরসভা রয়েছে। মে মাসে শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হচ্ছে। মেয়াদ ফুরোচ্ছে জলপাইগুড়ি, ইংরেজবাজার, পুরাতন মালদহের মতো পুরসভাগুলিরও। ডালখোলা, বালুরঘাট, মেখলিগঞ্জ পুরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। মালবাজার, কালিয়াগঞ্জ, গঙ্গারামপুর, কোচবিহার, দিনহাটা, তুফানগঞ্জ, হলদিবাড়ি, মাথাভাঙার মতো পুরসভাগুলির মেয়াদ ফুরিয়ে এসেছে। সব কিছু ঠিক থাকলে এ বছরের মাঝামাঝি এ সমস্ত পুরসভায় ভোট হওয়ার কথা।
এ দিন পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘‘সারা রাজ্যে শুনেছি একসঙ্গে পুরভোট হবে। সেটা মে মাস নাগাদ।’’ তাঁর কথায়, ‘‘শুনেছি মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বারবার বিভিন্ন জায়গায় পুরভোট হলে ৩৫-৪০ দিন কাজ বন্ধ থাকে। তাই পুরসভাগুলির ভোট একসঙ্গে হলে উন্নয়নের কাজেও ভাটা পড়ে না। বাকিটা রাজ্য সিদ্ধান্ত নেবে।’’
বামেরা অবশ্য সময়ে পুরভোট হওয়া নিয়ে সংশয়ে। শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সময়ে পুরভোট করার দাবি আমরা তো জানিয়েই আসছি। কিন্তু তা না করে অনেক পুরসভায় প্রশাসক বসিয়ে চালানো হচ্ছে।’’ পুরভোটে বাম কংগ্রেস একজোট হয়ে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা সভাপতি শঙ্কর মালাকার জানান, তাঁরাও চান সময়ে পুরভোট হোক। বিজেপি নেতৃত্বও আলাদা ভাবে একই কথা জানিয়েছেন।
দলীয় কর্মসূচিতে শিলিগুড়িতে শুক্রবার অশোক ভট্টাচার্যের প্রশাংসা করেন বিজেপির সাংসদ রাজু বিস্তা। এ দিন সেই প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘শিলিগুড়ি মডেল করতে গিয়ে বিজেপির সঙ্গে বামেরা হাত মিলিয়েই নিয়েছেন। রাজু বিস্তা সেটাই বলে দিয়েছেন।’’