নাটকের সঙ্গে আলোকসজ্জা, রূপসজ্জা, মঞ্চ ও শব্দের উপর কারিগরি শিক্ষাও দেওয়া হয় এই প্রতিষ্ঠানে। আশিস বলেন, ‘‘এই নাট্য বিদ্যালয়ে স্কুল স্তরের নাট্য প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের দেশের এক জন দায়িত্বশীল এবং চরিত্রবান শিল্পী হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’’
ফের খুলছে ‘নাট্য বিদ্যালয়’ । নিজস্ব চিত্র।
কোভিড-কাঁটা সরিয়ে আবার আনুষ্ঠানিক ভাবে খুলতে চলেছে গোবরডাঙার ‘শিল্পায়ন নাট্য বিদ্যালয়’। ১ মে থেকেই শিল্পায়নের স্টুডিয়ো থিয়েটারে শুরু হতে চলেছে বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন।
বাংলার নাট্য-জগতে ‘সিটি অব থিয়েটার’ নামে পরিচিত উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার নাট্যচর্চা রাজ্য তো বটেই গোটা দেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে গোবরডাঙার নাট্যচর্চায় নতুন পালক যোগ করেছিল বছর দুয়েক আগে তৈরি হওয়া এই ‘শিল্পায়ন নাট্য বিদ্যালয়’। প্রথম ক্লাস শুরু হয়েছিল ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে তা বেশি দিন চলতে পারেনি। গত এক বছর ধরে ঘরে বসে অনলাইনে ক্লাস চলেছে। বর্তমানে রাজ্যে সংক্রমণ কিছুটা স্তিমিত হওয়ায় আবার নাট্য প্রশিক্ষণ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সোমবার পঠনপাঠন শুরু করার কথা জানিয়েছেন শিল্পায়ন নাট্য সংস্থার কর্ণধার আশিস চট্টোপাধ্যায়, নাট্য বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল দীপা ব্রহ্ম এবং প্রশিক্ষক দীপঙ্কর মল্লিক।
কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের সহযোগিতায় গোবরডাঙা পুরসভার দেওয়া জমিতেই স্টুডিও থিয়েটারের ভাবনায় গড়ে উঠেছে শিল্পায়ন নাট্য বিদ্যালয়। এখানে পড়ানো হয় ১ বছরের ডিপ্লোমা কোর্স, এবং পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা কোর্স। নাট্য প্রশিক্ষণের পাশাপাশি রয়েছে, নাট্য পাঠাগার, আধুনিক প্রেক্ষাগৃহ, অতিথি নিবাস। নাটকের সঙ্গে আলোকসজ্জা, রূপসজ্জা, মঞ্চ ও শব্দের উপর কারিগরি শিক্ষাও দেওয়া হয় এই প্রতিষ্ঠানে। আশিস বলেন, ‘‘এই নাট্য বিদ্যালয়ে স্কুল স্তরের নাট্য প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের দেশের এক জন দায়িত্বশীল এবং চরিত্রবান শিল্পী হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’’