State Government Employee

দশ টাকা সাহায্য দিন, হঠাৎ বার্তায় বিভ্রান্তি

কিন্তু সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট ছড়িয়েছে। নামহীন ওই পোস্টে বলা হয়েছে, কর্মীরা যেন কনফেডারেশনকে ১০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য পাঠান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২২ ০৭:৩৬
Share:

ফাইল ছবি

উৎসব-পার্বণে চাঁদার জুলুম শোনা যায়। কিন্তু এ যেন উলটপুরাণ! চাঁদা কমের আর্জি নিয়েই বিভ্রান্তি সরকারি কর্মী মহলে।

Advertisement

মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) সংক্রান্ত আইনি লড়াইয়ের খরচ আছে। দীর্ঘদিন ধরে আইনি লড়াইয়ে পুরোভাগে থাকা কর্মী সংগঠন, কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ়-কে সেই খরচ জুগিয়েছেন সরকারের নানা স্তরে থাকা কর্মীরাই। কেউ দিয়েছেন ৫০০, কেউ বা এক হাজার। কিন্তু সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট ছড়িয়েছে। নামহীন ওই পোস্টে বলা হয়েছে, কর্মীরা যেন কনফেডারেশনকে ১০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য পাঠান। শুধু কনফেডারেশন নয়, ইউনিটি ফোরাম এবং কর্মচারী পরিষদ, আরও দুটি সংগঠনের নামেও একই বার্তা ছড়িয়েছে বলে খবর। সাহায্যের আর্জি নিয়ে ঘুরতে থাকা বার্তায় অবশ্য সংগঠনগুলির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সবিস্তার তথ্যও দেওয়া হয়েছে।

চাঁদা কেন কমে গেল, তা নিয়ে বিভ্রান্তি চরমে উঠেছে। কনফেডারেশন অবশ্য জানিয়েছে, এমন কোনও পোস্ট তারা দেয়নি। বরং এই বার্তা ছড়ানোর পিছনে লড়াইকে দুর্বল করে দেওয়ার ‘ষড়যন্ত্র’ দেখছে তারা। ওই কর্মী সংগঠনের নেতারা জানান, ২০১৬ সাল থেকে ডিএ-র দাবিতে মামলা করছে তারা। কর্মচারীদের অনেকেই নিজের সাধ্য অনুযায়ী সংগঠনকে আর্থিক সাহায্য করেছেন। অনেকেই ৫০০ কিংবা ১ হাজার টাকা দিয়েছেন। কেউ বা তারও বেশি টাকা সাহায্য করেছেন। সরাসরি সংগঠনের অফিসে গিয়ে কিংবা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সেই টাকা জমা দিতেন কর্মীরা। ওই বার্তা ছড়ানোর পরে বহু কর্মী ১০ টাকা করে পাঠাচ্ছেন! কনফেডারেশনের দাবি, সমাজমাধ্যমের বার্তায় বিভ্রান্ত হয়েই মাত্র ১০ টাকা চাঁদা পাঠাচ্ছেন ওই কর্মীরা।

Advertisement

কনফেডারেশনের সভাপতি শ্যামল কুমার মিত্র বলেন, “আমরা এমন কোনও বার্তা ছড়াইনি। যিনি বা যাঁরা এই বার্তা ছড়িয়েছেন, তাঁরা নিজেদের নাম প্রকাশ করেননি। তাই সন্দেহ বাড়ছে। কর্মচারীরা ১০ টাকা করে দিলে সংগঠনের আর্থিক ক্ষমতা ভেঙে দেওয়া যাবে। সেটাই হয় তো এর উদ্দেশ্য। ভবিষ্যতে এমন বার্তা ছড়িয়ে প্রতারণাও করা হতে পারে।”

ওই বার্তা সম্পর্কে রাজ্য কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশীষ শীলের প্রতিক্রিয়া, “আমরা এমন কোনও আবেদন রাখিনি। ওই বার্তার সঙ্গে আমাদেরও কোনও সম্পর্ক নেই। অনেকেই আমাদের আর্থিক সাহায্য দিচ্ছেন। কিন্তু এই ধরনের বার্তায় অনুদানের পরিমাণ কমে যায়।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement