Dev

চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়েছেন দেবের ‘প্রতিনিধি’! মামলা গড়াল কোর্টে, শুনে কী বললেন তৃণমূল প্রার্থী?

এক মহিলাকে আশাকর্মী পদে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল ঘাটালের তৃণমূল নেতা রামপদ মান্নার বিরুদ্ধে! তিনি পরিচিত বিদায়ী সাংসদ দেবের ‘প্রতিনিধি’ হিসাবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২৪ ১৮:৩১
Share:

ঘাটালের সাংসদ তথা অভিনেতা দেব। ছবি: ফেসবুক থেকে।

এক মহিলাকে আশাকর্মী পদে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল ঘাটালের তৃণমূল নেতা রামপদ মান্নার বিরুদ্ধে! তিনি পরিচিত বিদায়ী সাংসদ দেবের ‘প্রতিনিধি’ হিসাবে। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে মামলা গড়িয়েছে হাই কোর্টে। শনিবার সেই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে। ইমেল মারফত জেলা পুলিশের কাছেও অভিযোগ দায়ের করেছেন মহিলার বাবা। অন্য দিকে, রামপদের দাবি, তিনি অভিযোগকারীকে চেনেন না। তবে ঘাটলের তৃণমূল প্রার্থী তথা অভিনেতা দেব স্পষ্ট জানিয়েছেন, কেউ যদি দোষ করে থাকেন, তা হলে শাস্তি পেতে হবে। পুরো বিষয়টি নিয়ে শাসকদলকে বিঁধেছে বিজেপি।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘাটালের ক্ষীরপাই এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলার নাম মৌসুমী সাঁতরা (হাজরা)। তাঁর বাবা গঙ্গেশ সাঁতরার দাবি, ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে আশাকর্মী নিয়োগের পরীক্ষায় বসেছিলেন মৌসুমী। ওই বছরের মে মাসে ইন্টারভিউয়ে ডাকও পান। তবে ইন্টারভিউয়ের পর আর ডাক পাননি। এর পরেই সত্য ঘোষ নামে ঘাটাল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের এক কর্মীর মারফত মেয়ের চাকরি নিয়ে রামপদর সঙ্গে দেখা করেন গঙ্গেশ। গঙ্গেশের অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তিন লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন রামপদ। কিন্তু পরে দু’লক্ষের বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দিতে রাজি হয়ে যান। গঙ্গেশের দাবি, তিনটি কিস্তিতে তিনি প্রায় দু’লক্ষ টাকা রামপদকে দিয়েওছিলেন। কিন্তু দেড় বছর হয়ে গেলেও চাকরি পাননি তাঁর মেয়ে মৌসুমী।

গঙ্গেশের আরও অভিযোগ, পুরো বিষয়টি নিয়ে চন্দ্রকোনা টাউন থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ সেই অভিযোগ গ্রহণ করেনি। পরে ইমেল মারফত জেলা পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন।

Advertisement

মৌসুমীর স্বামী নির্মল হাজরার কথায়, ‘‘আমার স্ত্রীর চাকরির জন্য সত্য ঘোষ মারফত রাম মান্নাকে দু’লক্ষ ২০ হাজার দেওয়া হয়। আরও ৩০ হাজার দেওয়া হয় অন্য খরচা বাবদ। এক সপ্তাহের মধ্যে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পাইনি। তখন আমাদের বলে, আরও চাকরি আছে। দেববাবু সাসংদ। কোটা আছে। দেড় বছর হয়ে গেল। এখন শুধু ঘুরিয়ে যাচ্ছে। বলছে, ২০২৪ সালে জেতার পর চাকরি হবে। এখন চাকরি চাই না। আমাদের টাকা দেওয়া হোক।’’

যদিও রামপদকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘‘কে অভিযোগ করেছে আমি চিনিও না। জানিও না। আমার কাছে এ রকম কোনও খবর নেই।’’ রামপদকে নিয়ে ওঠা অভিযোগ পৌঁছেছে ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেবের কানেও। গত শনিবারই তিনি বলেছিলেন, ‘‘তদন্ত হবে। যে দোষী তাকে শাস্তি পেতে হবে।’’

গোটা ঘটনা নিয়ে শাসকদল তৃণমূল ও বিদায়ী সাংসদ দেবকে বিঁধেছেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘গত আড়াই বছর ধরে বলে আসছি। কিছু দিন আগেই একটি অডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল, তাতে এক সোনা ব্যবসায়ীও অভিযোগ করেছিল। উনি (দেব) চুরি ছাড়া কিছু কাজ করেন না। রামপদও চাকরি দেওয়ার নাম করে বাজার থেকে সাত কোটি টাকা তুলে দিয়েছেন। গরিব মানুষকে শোষণ করছে এরা।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement