গ্রামবাসীদের হাতে বেধড়ক মার খেলেন এক তৃণমূল নেতা ও তাঁর শাগরেদরা। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে সন্দেশখালির খুলনা পঞ্চায়েতের শীতলিয়া গোলাবাড়ি গ্রামে।
ঠিক কী হয়েছিল?
গোলাবাড়ি গ্রামে মূলত তৃণমূলের দাপটই বেশি। কিন্তু এ বারের লোকসভা নির্বাচনে এলাকায় ভাল ফল করেছে বিজেপি। ফলে এ নিয়ে একটা চাপানউতোর চলছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যে। গ্রামবাসীদের দাবি, এলাকায় তৃণমূলের দাপট থাকলেও এ বারের নির্বাচনে তাঁদের মধ্যে অনেকেই বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। স্থানীয় নেতৃত্বের মধ্যে এ নিয়ে একটা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। গ্রামবাসীদের ‘শিক্ষা’ দিতে তাই স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা সত্যজ্যোতি সান্যাল তাঁর সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে গ্রামে ঢোকেন। অভিযোগ, সত্যজ্যোতির নেতৃত্বে জনা কুড়ির একটি দল বাইক নিয়ে কলোনিপাড়ায় যায়। সেখানে বেশ কয়েক জনের বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি মারধরও করেন।
কলোনিপাড়ায় হামলার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামবাসীরা জড়ো হতে শুরু করেন। সত্যজ্যোতি ও তাঁর দলের বিরুদ্ধে একযোগে রুখে দাঁড়ান। শ’খানেক গ্রামবাসীদের বাধার মুখে পড়ে হামলাকারীরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতিটা ঘোরালো হয়ে ওঠে এখান থেকেই। গ্রামবাসীদের রাগ গিয়ে পড়ে তৃণমূল নেতা ও সঙ্গীদের উপর। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সত্যজ্যোতি সান্যাল ও তাঁর সঙ্গীরা পালানোর চেষ্টা করে। উত্তেজিত গ্রামবাসীদের কাছে তখন ধরা পড়ে যান সত্যজ্যোতি ও তাঁর দাদা দেবজ্যোতি-সহ কয়েক জন হামলাকারী। গ্রামবাসীদের রোষ গিয়ে পড়ে তাঁদের উপর। বেধড়ক মারধর করা হয় সত্যজ্যোতিদের। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সত্যজ্যোতি ও তাঁর সঙ্গীদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
বিজেপির অভিযোগ, গ্রামবাসীরা বিজেপিকে ভোট দেওয়াতেই তাঁদের উপর হামলা চালান তৃণমূল নেতা। যদিও হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। পাল্টা দাবি করে বলেছে, গোলাবাড়ি গ্রামে ঢোকামাত্রই বিজেপি সমর্থকরা তাঁদের উপর হামলা চালিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অভিষেকের দায়িত্বে কোপ, সংগঠনেও ব্যাপক রদবদল মমতার
আরও পড়ুন: বাংলা দখলে এ বার ‘পুজোর আগেই চমক’