আপাতত রেশন দোকানগুলিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি দেওয়া গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার টিনের পোস্টার লাগাতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।
সম্প্রতি এক নির্দেশিকা জারি করে ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এফসিআই) জানিয়েছিল, দেশের সব রেশন দোকানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি সম্বলিত গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার টিনের পোস্টার লাগাতে হবে। কিন্তু এখনই সেই পোস্টার লাগাতে হবে না বলেই জানানো হয়েছে। সংস্থার সদর দফতর থেকে আঞ্চলিক অফিসগুলিতে এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে এফসিআইয়ের তরফে।
উল্লেখ্য, এফসিআইয়ের এই সিদ্ধান্ত জানার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন রেশন ডিলারেরা। রেশন ডিলারদের সংগঠন অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের তরফে সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু অভিযোগ করেছিলেন, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে প্রচার করতে কেন্দ্রীয় সরকার গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার টিনের পোস্টার রেশন দোকানগুলিতে লাগাতে বলেছেন। নতুন এই নির্দেশিকার পর রেশন সংগঠনের এই নেতা বলেন, ‘‘আমাদের দাবি ছিল, যে হেতু আমরা রেশন ডিলারেরা রাজ্য সরকারের লাইসেন্স পাওয়ার পর পরিষেবা দিয়ে থাকি, তাই কোনও নির্দেশিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে তা রাজ্য সরকার মারফত আসুক। কিন্তু সে সব কথা মাথা না রেখে একতরফা ভাবে নির্দেশ দিয়েছিল এফসিআই। তাই আমরা চাইব, রাজ্য সরকার মারফত আমাদের নির্দেশ দেওয়া হোক।’’ তবে গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার টিনের পোস্টার রেশন দোকানগুলিতে লাগানোর সিদ্ধান্ত পিছিয়ে দেওয়াকে এফসিআইয়ের শুভবুদ্ধির উদয় বলেই ব্যাখ্যা করছেন রেশন ডিলারদের একাংশ।
তবে প্রশাসন সূত্রে খবর, এই প্রচারের ক্ষেত্রে যে বয়ানে এই পোস্টারটি তৈরি হওয়ার কথা, তা এখনও চূড়ান্ত করতে পারেনি কেন্দ্রীয় খাদ্য এবং উপভোক্তা মন্ত্রক। তাই দেশ জুড়ে রেশন দোকানগুলিতে টিনের পোস্টার লাগানোর কাজ আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এফসিআই। ঠিক ছিল, ১২টি ভাষায় এই পোস্টার তৈরি হবে। দেশের সব রাজ্যের রেশন দোকানে সেই টিনের পোস্টার লাগানো হবে। একই সঙ্গে উপভোক্তা মন্ত্রকের একটি পোস্টারও প্রতি রেশন দোকানে থাকবে। দু’টি মন্ত্রকের পোস্টার তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয় এফসিআইকে। কেন্দ্রীয় সরকার এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এফসিআই-এর আঞ্চলিক অফিসগুলিকে ‘জেইএম’ পোর্টালের মাধ্যমে টিনের পোস্টার তৈরির জন্য টেন্ডার ডাকতে বলা হয়েছিল। ইতিমধ্যে কিছু আঞ্চলিক অফিস টেন্ডার ডেকেছে বলেই জানা গিয়েছে। কিন্তু পোস্টারে কী লেখা হবে, তা কেন্দ্রীয় সরকার চূড়ান্ত না করতে পারায়, আপাতত পুরো প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হচ্ছে।