রবিবার কি বাড়ি দেখাতেই কাঁকুলিয়া রোডে আসেন সুবীর? ফাইল ছবি।
গড়িয়াহাটের জোড়া খুনের ঘটনায় এখনও অধরা হত্যাকারী। আততায়ী বা আততায়ীদের ধরা তো দূরের কথা, হত্যা-রহস্য সমাধানের ধারেকাছেও পৌঁছতে পারছেন না তদন্তকারীরা।
গড়িয়াহাটের উপকণ্ঠে কাঁকুলিয়া রোডে একটি বাড়ি বিক্রির চেষ্টা করছিলেন কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকী। তা নিয়ে বিবাদের জেরেই কি খুন? লালবাজারের গোয়েন্দারা সে দিকও খতিয়ে দেখছেন। ইতিমধ্যেই ওই বাড়ি কেনার ইচ্ছেপ্রকাশ করা ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করছেন গোয়েন্দারা। এই তালিকায় গড়িয়াহাট অঞ্চলের এক দালাল এবং সল্টলেক অঞ্চলের দুই দালাল রয়েছেন। সেই তালিকায় পৃথক ভাবে উল্লেখ করা হচ্ছে বাড়ি বিক্রির দালালদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁদের বুধবারই লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এই অবস্থায়, পুলিশ জানার চেষ্টা করছে, আততায়ীর সংখ্যা কত ছিল।
গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডে একটি তিন তলা বাড়ির মালিক ছিলেন সুবীর। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই বাড়িটি বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি। সাধারণত ওই বাড়ি কিনতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের বাড়ি দেখাতে নিয়ে যেতেন সুবীরের গাড়ির চালক রবীন। কিন্তু রবিবার কি বাড়ি দেখাতেই কাঁকুলিয়া রোডে আসেন সুবীর? এই প্রশ্ন ভাবাচ্ছে পুলিশকে। এ বিষয়ে আরও তথ্য পেতে ওই বাড়িতে ঘনঘন যাতায়াত ছিল এমন লোকেদের সঙ্গে কথা বলে গোয়েন্দারা বোঝার চেষ্টা করছেন, বাড়ি বিক্রি নিয়ে গোলমালের জেরেই সুবীর ও রবীনকে খুন হতে হল কি না।
খুনের বিষয়ে তথ্য পেতে এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।মঙ্গলবার সকালে লন্ডন থেকে ফিরেছেন সুবীরের পুত্র।রাতে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।