—ফাইল চিত্র।
আগামী বুধবার, ১৩ জানুয়ারির মধ্যে গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। ওই রিপোর্ট দেখার পরই এ বছর গঙ্গাসাগর মেলা হবে কি না, সে বিষয়ে রায় দেবে আদালত। যদিও মেলার প্রস্তুতি নিয়ে রাজ্যের প্রাথমিক রিপোর্টে ডিভিশন বেঞ্চ সন্তুষ্ট বলে জানা গিয়েছে।
মুখ্যসচিবের রিপোর্টে থার্মাল চেকিং, স্যানিটাইজার, করোনা নিয়ে সচেতনতা প্রচার চালানোর মতো বিষয় নিয়ে রাজ্য কী কী পদক্ষেপ করেছে, তা সবিস্তারে জানাতে হবে। দুর্গাপুজো, কালীপুজো, এমনকি বর্ষবরণের রাতেও ভিড় নিয়ন্ত্রণে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।
দেশ-বিদেশের লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর সমাগম হয় গঙ্গাসাগরে। প্রচুর মানুষ একসঙ্গে সাগরে নেমে স্নান করেন। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, এমনটা হলে ‘ড্রপলেট’-এর মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। সে কারণে সংক্রমণ রুখতে রাজ্যের কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতে চায় হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: সিঙ্গুরে টাটাকে ফেরাতে অনুরোধ জানাব প্রধানমন্ত্রীকে: মুকুল
আরও পড়ুন: শুভেন্দু-মুকুলের নন্দীগ্রামে আজ অতিথির আসনে দিলীপ-কৈলাস
বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে পুণ্যস্নানের বদলে বিকল্প কোনও পথ বার করা যায় কি না, তা রাজ্য সরকারকে দেখতে বলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিবিএন রাধাকৃষ্ণন এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। আজ, শুক্রবার ছিল তারই শুনানি।
রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত রাজ্য সরকারের বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েও ছিলেন। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হয়নি আদালত। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করতে বলে আদালত।