ধৃতের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী কার্যকলাপের প্রমাণ রয়েছে। প্রতীকী ছবি
বাড়ি মালদহে, কিন্তু সে আল-কায়দার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখার হয়ে মূলত হাওড়ায় সদস্য সংগ্রহ-সহ সংগঠনের কাজকর্ম করত বলে অভিযোগ। এ-হেন এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে উত্তরপ্রদেশের সহারানপুর থেকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ বা স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। মালদহের কালিয়াচকের বাসিন্দা ওই জঙ্গির নাম হাসনাত শেখ। রবিবার তাকে গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় এনে বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। সরকারি কৌঁসুলি আদালতে জানান, ধৃতের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী কার্যকলাপের প্রমাণ রয়েছে। এ রাজ্যে সে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের হয়ে কাজ করছিল। হাসনাতকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
এসটিএফ জানিয়েছে, হাসনাত ‘আল-কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্ট’-এর সদস্য। বেশ কয়েক বছর ধরে সে ওই সংগঠনের হয়ে সদস্য নিয়োগের দায়িত্বে ছিল। মাস দুয়েক আগে সে সহারানপুরে গিয়ে একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছিল। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, হাসনাত মাস দুয়েক আগে হঠাৎ করেই এ রাজ্য থেকে উধাও হয়ে যায়। তখনই খোঁজখবর করে জানা যায়, সে রয়েছে উত্তরপ্রদেশে।
এসটিএফ সূত্রের খবর, মাস দুয়েক আগে বাংলাদেশের শ্রীহট্টের বিজ্ঞান-লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশকে খুনের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি ফয়জল আহমেদ ওরফে শাহিদ মজুমদারকে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। তাকে কলকাতায় এনে জেরা করে জানা যায়, তারই নেতৃত্বে বেঙ্গালুরুতে ঘাঁটি মজবুত করছে আল-কায়দার ‘অসম মডিউল’। সেই কাজ শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। তখনই নাম উঠে আসে হাসনাতের। ফয়জলের গ্রেফতারির খবর ছড়িয়ে পড়তেই সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে হাসনাত বাংলা ছেড়ে পালায়। গোয়োন্দারা জানান, হাসনাত মালদহ ও হাওড়ায় জেহাদি মতাদর্শ ছড়িয়ে যুবকদের মগজ ধোলাই করছিল।