কালনায় বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
‘কাটমানি’ নিয়ে রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের স্রোত অব্যাহত। এ দিন কোচবিহারের মাথাভাঙায় এ নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। জখম হন ৪ জন। ‘কাটমানি’ নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং এবং কোচবিহারের হলদিবাড়িতে। বিক্ষোভ হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া, মালদহের ইংরেজবাজার, পশ্চিম বর্ধমানের লাউদোহা, পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর শহর, দাঁতন ও ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে। ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তুলে বিক্ষোভ হয়েছে বীরভূমের নানুরের কুরুম্বঘোষ গ্রামে।
শিক্ষাক্ষেত্রে ‘কাটমানি’ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর এবং উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। মিনাখাঁর বামনপুকুর হুমায়ুন কবীর মহাবিদ্যালয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে ‘কাটমানি’ নিয়ে পড়ুয়া ভর্তির অভিযোগ তোলে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। মারপিটে জনা চারেক জখম হন। মথুরাপুরের একটি স্কুলে পড়ুয়াদের কাছ থেকে নানা বিষয়ে ‘কাটমানি’ নেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে তা ফেরতের দাবি তোলেন অভিভাবকদের একাংশ। জেলা স্কুল পরিদর্শক বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আবার রায়গঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্তের অভিযোগ, স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কাটমানি’ নিয়ে কর্মী নিয়োগ এবং ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারদের কাজ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন উপাচার্য অনিল ভুঁইমালি।