বিসর্জনের রাতেই প্রাণ হারালেন চার জন। প্রতীকী ছবি।
দুর্গাপুজোর দশমীর রাতে কয়েক ঘণ্টার তফাতেই পর পর বাইক দুর্ঘটনা ঘটল পুরুলিয়ায়। তিনটি পৃথক ঘটনায় নিয়ন্ত্রণহীন বাইক দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের প্রত্যেকেই তরুণ। তাঁদের বয়স ১৯ থেকে ২৯-এর মধ্যে।
বুধবার রাতে প্রথম ঘটনাটি ঘটে ৩২ নম্বর জাতীয় সড়কের পুরুলিয়া টাটা রোডে। বলরামপুর থানা এলাকার মালতি গ্রামের কাছে নিয়ন্ত্রণহীন একটি বাইকের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে লরির। এতে দুই বাইকারোহী গুরুতর জখম হন। পরে স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে এলাকার বাঁশগড় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁদের দু’জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম কৃষ্ণ গরাই এবং শম্ভুনাথ গরাই। দু’জনেরই বাড়ি ঝাড়খণ্ডের নিমডি থানা এলাকায়। কৃষ্ণর বয়স ২৫ বছর। শম্ভুনাথ ২৯। দশমীর রাতে দু’জনেই বলরামপুর থেকে বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময়েই দুর্ঘটনা ঘটে।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে। পুরুলিয়ার মানবাজার থানা এলাকায় জবলা বাঁধের কাছে বাঁকের মুখে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার ধারের একটি স্তম্ভে গিয়ে ধাক্কা মারে একটি দ্রুতগতি বাইক। ওই ঘটনাতেও দুই বাইকারোহী গুরুতর জখম হন। পরে পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত বলে জানান। এই ঘটনাটিতে মৃতদের মনোজিৎ মাহাতো এবং পার্থ বাউড়ি। মনোজিতের বয়স ২৮, বাড়ি ধবারডি গ্রামে। পার্থ বান্দাগল গ্রামের বাসিন্দা। তার বয়স ১৯।
বুধবার গভীর রাতে পুরুলিয়া থেকে বরাকরগামী রাজ্য সড়কে ঘটে তৃতীয় ঘটনাটি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দু’টি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় একজন বাইকারোহীর গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় তার। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের বয়স ২৫। নাম অনন্ত মাহাতো। তিনি পুরুলিয়ার দুমদুমি গ্রামের বাসিন্দা।
দুর্গাপুজোর বিসর্জনের রাতে নিয়ন্ত্রণহীন এবং বেপরোয়া বাইক চালানোর ঘটনা প্রায়শই দেখা যায়। তবে পুরুলিয়ার এই ঘটনাগুলির নেপথ্যে বেপরোয়া বাইক চালানোই প্রকৃত কারণ কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ তিনটি ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে।